রেললাইনে যুক্ত হচ্ছে পদ্মার দু’পাড়। উদ্বোধনের অপেক্ষায় পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল। উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এর মাধ্যমে পদ্মাসেতুর পুরো সুবিধা মিলবে।
ট্রেন চলার জন্য প্রস্তুত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। নাওডোবাসহ শরীয়তপুরের মানুষের মধ্যে বইছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার। ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পাবে পদ্মা সেতুর সফলতা, বলছেন স্থানীয়রা। যানজটবিহীনভাবে কম ভাড়ায় যেমন চলাচল করা যাবে, তেমনি মালামাল পরিবহনের খরচও কমবে।
স্থানীয়রা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, পদ্মাসেতুর পাশাপাশি রেললাইন চালু হচ্ছে। আমাদের এলাকা দিয়ে এই প্রথম ট্রেন চলবে, এতে আমরা অনেক খুশি।” ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাবে জীবনযাত্রা, আশা স্থানীয়দের। তারা আরও জানান, আগে ঝড়-বৃষ্টিতে লঞ্চ ডুবতো, এখন ট্রেন চালু হওয়ায় আমরা আনন্দিত। জাজিরা পয়েন্টে যাত্রী ছাউনি ও রেলের স্টেশনের দাবি তাদের।
পদ্মা সেতুর ওপর পাথরবিহীন রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে উদ্বোধনের প্রস্তুতিও। পদ্মা স্টেশনের গার্ডম্যান ইলিয়াস হোসেন বলেন, “এখন উদ্বোধনের জন্য আম রা অপেক্ষায় আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে এই সফলতা।”
আগামী ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙা স্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার পথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলবে।
ফরহাদ/অননিউজ