কক্সবাজারের উখিয়া ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ক্যাম্পের হেড মাঝি অপরজন ব্লক মাঝি। মঙ্গলবার( ৯ আগস্ট) দিবাগত-রাতে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে এই দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।
উখিয়া ৮ আর্মাড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিডিয়া মোহাম্মদ কামরান হোসেন বুধবার সকালে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে উখিয়া জামতলি ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৯ ব্লকের সমতল হতে অনুমান ১৫০ ফিট উপরে দুর্গম পাহাড়ের ঢালে জনৈক আছিয়া বেগম এর শেড নং-১০১০ এর সামনে সি ব্লকের হেড মাঝি আবু তালেব এবং সি/৯ সাব ব্লকের মাঝি সৈয়দ হোসেনকে লক্ষ্য করে একদল রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারী গুলি ছুড়ে। এতে তারা দু'জনই গুরুতর আহত হয়ে পড়ে থাকে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ও ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা ঘটনাস্হলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জামতলী ক্যাম্পে এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে ভর্তি হলে সৈয়দ হোসেনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন এবং আবু তালেবের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুতুপালং হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। পরবর্তীতে কুতুপালং এমএসএফ হসপিটালে পৌছালে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হেড মাঝি আবু তালেব ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের আব্দুর রহিমের পুত্র এবং অপর নিহত সৈয়দ হোসন একই ক্যাম্পের বাসিন্দা ইমাম হোসেনের পুত্র।
স্হানীয় সুত্র জানিয়েছে রাতের বেলায় ক্যম্পে স্বেচ্ছাসেবকদের পাহারা তদারকি করে তাদের শেডে ফিরে আসার সময় ১০/১২ জন দুষ্কৃতকারী তাদের গতিরোধ করে এবং গুলি ছুড়ে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরান হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে পূর্বশত্রুতার জের ধরে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সৈয়দ হোসেন এবং আবু তালেবকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ক্যাম্পে ব্লক রেইড এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, নিহত দুই রোহিঙ্গা মাঝির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উখিয়া থানায় মামলা কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।