কুমিল্লার লালমাইয়ে অবস্থিত নাওড়া সরদার হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিল্লাল হোসেন (৫৩) কে আটক করেছে লালমাই থানা পুলিশ। আটক শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আন্দোলন শুরু করলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে লালমাই থানা পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, যৌন নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রী তার জন্মনিবন্ধন পেতে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের দ্বারস্থ হলে ওই শিক্ষক তাকে জন্মনিবন্ধন দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং একটি শ্রেণী কক্ষে ওই ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরে ওই ছাত্রী শ্রেণী কক্ষ থেকে বের হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে ঘটনাটি সহপাঠীদের জানায়। পরে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়। তাছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, ঘটনাটি নাকি ঘটেছে বৃহস্পতিবার কিন্তু সেদিন আমরা বিকেল চারটা পর্যন্ত ক্লাস করেছি এরকম কিছুই শুনিনি। দুইদিন পর রবিবার ইউএনও অফিসে মিটিং শেষ করে স্কুলে এসে শুনি এই ঘটনা। এ বিষয়ে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা বেড়ে গেলে প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের সুযোগ হয়নি।
এ বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খাঁন বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছেন। শিক্ষার্থী এবং জনগণ কর্তৃক ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। আমরা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি।