২৬ অক্টোবর শনিবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর গ্রামের কামরুল হাসানের ভাড়াকৃত বাসা থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বাবলা সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার এলাকার চন্ডিপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এবং স্ত্রী জান্নাতুল নাইম কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার ডলুয়াপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল নাইম (২০) কে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, এক বছর পূর্বে নিহত এজাহার উদ্দিন বাবলা নাঙ্গলকোট উপজেলায় একটি মুরগির খামারে চাকরির সুবাদে জান্নাতুল নাইমের সাথে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। পরে পরিবারকে না জানিয়ে বাগমারা দুতিয়াপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে তারা। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হত। শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় স্বামী তাকে মারধর এবং গালিগালাজ করতে থাকলে একপর্যায়ে স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে স্বামীকে স্ব-জোরে ধাক্কা দিলে দেয়ালের সাথে আঘাত পেয়ে মেঝেতে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্বামী। পরে স্ত্রী নিজেই পুলিশকে খবর দেয় এবং আত্মহত্যার নাটক সাজায়। খবর পেয়ে পুলিশ ভাড়া বাসা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে স্ত্রী জান্নাতকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
আই/অননিউজ২৪।।