বাজারে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য আবারো লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।এই মূল্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল হয়েছে ১৬০ টাকা, যার আগে ছিলো ১৫৩ টাকা।খোলা সয়াবিন তেলের মূল্য হয়েছে ১৩৬ টাকা, যার আগে ছিলো ১২৯ টাকা। আগামীকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) থেকে নতুন এ মূল্য কার্যকর হবে।
আজ বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সংগঠনটির সচিব মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম ওয়েলের মূল্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই মূল্যে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মিলগেটে দাম ১৩৪ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১৩৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩৬ টাকা। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল মিলগেটে ১৫০ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১৫৪ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হবে। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলগেটে ৭২০ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৭৪০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ৭৬০ টাকা। আর পাম তেল প্রতি লিটার মিলগেটে ১১৬ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১৭ ও খুচরা পর্যায়ে ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ মূল্য পরিবেশক ও খুচরা পর্যায়ে পুরোনো মজুতকৃত তেলের ওপর কার্যকর হবে না।
গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত নিত্যপণ্যের মজুত পরিস্থিতি, আমদানি ও মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে তেলের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য আমরা ১৫৩ টাকা নির্ধারণ করেছিলাম। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বেড়ে যাচ্ছিল, তাই তারা ৮/১০ দিনের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। ২০১১ সালের আইন অনুযায়ী, প্রতি ১৫ দিন অন্তর ট্যারিফ কমিশন অ্যানালাইসিস করে সুপারিশ করবে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রিফাইনারিদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য নির্ধারণ করি। পরে রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন তাদের অফিসিয়াল প্যাডে এটা ডিক্লেয়ার করে।
বোতলজাত তেলের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে সফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব ছিল, বোতলজাত কেজিপ্রতি তেলের মূল্য ১৬৮ টাকা করার। ট্যারিফ কমিশন একাধিকবার বসে অ্যানালাইসিস করে ১৬২ টাকা প্রস্তাব করেছে। এটা ছিল সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাভারেজ রিপোর্ট।দীর্ঘ আলোচনায় প্রতি কেজি বোতলজাত তেলের মূল্য ঠিক করা হয়েছে ১৬০ টাকা, যেটার আগে মূল্য ছিল ১৫৩ টাকা।