নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতি পাঠাগারের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মানিকগঞ্জ বাজারে মধুমতি পাঠাগারে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে এল.এস.জে.এন ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন, মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এমদাদ-হনজো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আজিজ-আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর আলিম মাদ্রাসা, সরুশুনা দাখিল মাদ্রাসা হতে ২০২৩ সালের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩৮জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র ও নগদ অর্থ উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয়।
মধুমতি পাঠাগারের সভাপতি ও এমদাদ-হনজো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. সৈয়দ এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লিংকন বিশ^াস, বিশেষ অতিথি লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরিন জাহান, লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম হায়াতুজ্জামান, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ ওয়ালিউর রহমান, নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুন্সী জোসেফ হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম কালু, এমদাদ-হনজো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী শামসুল হক, মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন, পাঠাগারের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সৈয়দ ইয়াজুল হক, সদস্য মুন্সী আমিনুর রহমান, সদস্য কাজী আব্দুল আলিম, মধুমতি পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ প্রমুখ।
এসময় সংবর্ধিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, পাঠাগের আজীবন সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যকালে অতিথিবৃন্দ, মধুমতি পাঠাগারের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন,‘ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ ও সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এই পাঠাগারটি। তরুন থেকে শুরু করে নানা বয়সীরা এখন মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে ভালোর তুলনায় ক্ষতি বেশি হচ্ছে। ফেসবুক,্ ইউটিউব ছেড়ে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে আমাদের পাঠাগারমুখী হতে হবে।
উল্লেখ্য যে, এলাকার অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, তরুন সমাজ ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি, মানবিক ও শিক্ষিত সমাজ গঠন, সামাজিক ও পারিবারিক মুল্যবোধ তৈরি, সমৃদ্ধি সমাজ গঠনসহ জনসচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে এলাকার সুশীল সমাজের উদ্যোগে ২০২১ সালে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন।