প্রতিদিনের খাদ্য়তালিকায় জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখা একান্তভাবে প্রয়োজনীয়। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ জিঙ্কের অভাবজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
জিঙ্ক মানুষের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় খনিজ। জিঙ্ক শরীরের ডিএনএ, কোলাজেন তৈরি করা থেকে শুরু করে প্রোটিন সিন্থেসিস, থাইরয়েডের কাজ, যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখা, প্রোস্টেট গ্রন্থির কাজ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, লিভারের কাজকর্ম ও সুস্থ দৃষ্টিশক্তি এবং গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের যথাযথ বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
জিঙ্কের উৎস কী?
জিংকের অন্যতম উৎস হলো সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য খাবার যেমন কাঁকড়া, ঝিনুক, চিংড়ি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, বাদাম, শিম, মাশরুম ইত্যাদি। শাক–সবজিতে বিদ্যমান জিংক শরীর সহজে হজম করতে পারে না। সে জন্য নিরামিষভোজীদের অতিরিক্ত জিংক সরবরাহ করা প্রয়োজন। একজন পুরুষ ও নারীর দৈনিক যথাক্রমে ১১ ও ৮ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন।
ডাল আমরা রোজ খাই। বিশেষত, ভাত সর্বস্ব প্রাণ বাঙালির পাতে রোজ কোনও এক ধরনের ডাল থাকেই। আর ডাল কিন্তু জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়া ডালে পেয়ে যাবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন।
বাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক। এক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের বাদাম খেলেই লাভ মিলবে। স্ন্যাকস হিসাবে বাদামের জুড়ি মেলা ভার।
দুধে অনেকেরই অ্যালার্জি। এই সমস্যাকে বলা হয় ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। তবে দুধের বদলে দই, ছানা খেতে পারেন। এইসব দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে জিঙ্ক।
ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক। এছাড়া এই খাবার প্রোটিনের দারুণ উৎস।
জিঙ্কের উপকারীতা
জিঙ্ক সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু অবস্থার উন্নতি ঘটায়। এটা দৌড়বীরদের শক্তি, ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ায়। এটা সর্দি-কাশির দারুণ নিরাময়ক এবং ত্বকে লাগানো হলে ঠাণ্ডা ঘা ও ব্রণ ও বয়সের ছাপ পড়ার চিকিৎসা করে। যে কারণে বয়স বাড়ার সঙ্গে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা সূর্য রশ্মির কারণে হওয়া ত্বকে ক্ষতি পোষায়, কোষকলার বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখে।
সূত্র: এবিপি আনন্দ
এফআর/অননিউজ