দিনাজপুরে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা জ্যোতিস চন্দ্র রায়কে (৩৮) পঞ্চগড় থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মাসুদ আলী (৩৯) নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়ে দিনাজপুরের কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দিনগত গভির রাতে পঞ্চগড় সদরের উত্তর খালপাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধায় র্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞোপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যয়, প্রতারক চক্রের মূল হোতা জ্যোতিস পঞ্চগড়ের উত্তর খালপাড়া এলাকার দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞোপ্তিতে জানা যায়, আসামী জ্যোতিস পঞ্চগড় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সহজ-সরল মানুষদের বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। গোপন তদন্তে জানা যায় যে, সে তার নিজ এলাকা পঞ্চগড়সহ দিনাজপুরের বিভিন্ন থানা এলাকার মানুষকে চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের কোতয়ালী থানা এলাকার সুইহারী গ্রামের মাসুদ আলীকে (৩৯) চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ধাপে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মননীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষর নকল করে ভুক্তভোগী মাসুদকে একটি ভূয়া নিয়োগপত্র দেয় জ্যোতিস।
পরবর্তীতে মাসুদ নিয়োগপত্রটি ভূয়া বুঝতে পেরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। এর পর কোতয়ালী থানা পুলিশ আসামীকে গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয়। এদিকে র্যাব-১৩, সিপিসি-২ এর নীলফামারীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় মূল আসামী জ্যোতিসকে পঞ্চগড়ে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।