শিল্পীরা দেশের অর্জনে অবদান রয়েছে; পাজেব সদস্য নীলোৎপল খীসা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।

নীলোৎপল খীসা বলেছেন, শিল্পীরা দেশের অর্জনে ও উন্নয়নে অবদান রয়েছে। সেটা আমরা দেখেছি ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগীতের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে উৎসাহিত করেছে।

খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জেলার সংস্কৃতি কর্মীদের ভূমিকা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নীলোৎপল খীসা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, শিল্পীদের চিন্তা চেতনায় মননে মানসিকতায় উন্নত হতে হবে, তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াতে পারবো।

নীলোৎপল খীসা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কৃতি ব্যক্তিরায় সমাজের অপসংস্কৃতি গুলো সঙ্গীতের মাধ্যমে অথবা নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে সঠিক সংস্কৃতির বিকশিত করবে এবং দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সহযোগিতা রাখবে আশাব্যক্ত করেন তিনি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা। উপস্থাপনায় বলেছেন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের লক্ষ্যসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের স্মার্ট নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা। প্রতিটি নাগরিক যখন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে তার দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদনে সক্ষম হবেন, তখনই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চারটি ভিত্তির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি সে গুলো ৪১ সালের মধ্যে আমরা সকলে মিলে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো: শানে আলম, বাঁশরী মারমা, গণমাধ্যমকর্মী হলাপ্রু মারমাসহ স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট উপ পরিচালক জিতেন চাকমা।

আরো দেখুনঃ