ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনিরকে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম আবিদ। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই রিটের পক্ষে যে আইনজীবী নিযুক্ত করেছেন তিনি হচ্ছেন শিশির মনির। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্পষ্ট ভাষায় বলছি, আজকে থাকার কথা ছিল কবরে, কিন্তু আছি এখানে। আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সেই প্রশাসনে বসেছে। তোমাকে তো কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বসানো হয়নি।’
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হাইকোর্টের স্থগিত করার পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় আবিদুল ইসলাম এসব বলেন। তবে হাইকোর্টের স্থগিত আদেশের কিছুক্ষণ পরেই চেম্বার আদালতে স্থগিতের রায় বাতিল করা হয়। চেম্বার আদালতে ডাকসু নির্বাচন বহালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আপিল করেন শিশির মনির।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ও আলোচিত সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরকে এই রিটের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত করায় ডাকসুর ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম আবিদ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আবিদুলের বক্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে চলছে যুক্তিতর্ক।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীদের একটি প্যানেল রয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মামলা ও আইনি বিষয়গুলো দেখে থাকেন। সেখানে মোট ১০ জন আইনজীবী রয়েছেন। আজকের এই রিটে আইনজীবী শিশির মনির বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের হয়ে আদালতে লড়ছেন। তিনি কোনো ব্যক্তির পক্ষে লড়েননি।
প্রক্টর বলেন, একটি রিট করা হয়েছে ডাকসুর জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে। তবে রিটের বিবাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ডাকসুর নির্বাচন কমিশনার।
গাজীপুরের টঙ্গীস্থ তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা থেকে আলিম শেষ করে ২০১৬-১৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হন আবিদুল ইসলাম খান। ঢাবি ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়ান তিনি। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সদস্য পরে নির্বাচন করেন তিনি। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করছেন।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
আই/অননিউজ২৪।।