নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার( ২১ মার্চ) দুপুরে দুর্ঘটনা স্থল থেকেই স্থানীয়রা ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে তারা ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করেন।
এ নিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। এখনো নিখোঁজ আছে আরও ৪ জন যাত্রী। মৃত উম্মে খায়রুন ফাতেমা সোনারগাঁ উপজেলার হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন।
গতকাল রবিবার তিনি তার স্বামী সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবু তাহের সরকারের সাথে মুন্সিগঞ্জ পিটিআই শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সনদের জন্য যাওয়ার সময় লঞ্চ দুর্ঘটনার শিকার হন। শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এর আগে ভোর ৫টায় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে নদীর তীরে টেনে তুললেও ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করছে। রবিবার দুপুরে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ টু মুন্সীগঞ্জগামী ‘এম এল আফসার উদ্দিন’ নামে লঞ্চটি ডুবে যায়।