শীত চলে গেলেও হতদরিদ্রদের শীত নিবারণের জন্য সরকার কম্বল পড়ে আছে প্যানেল চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে।
বিশেষ প্রতিবেদক।

মৌলভীবাজারের ২ নং মনুরমুখ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাজুর জন্য বরাদ্দ হওয়া কম্বল বিতরণ না করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এতে শীতকালে কষ্ট হলেও বঞ্চিত হয়েছেন হতদরিদ্ররা।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে শীতবস্ত্র কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই কম্বল ইউনিয়ন মেম্বারা তাদের ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের দিয়ে থাকেন।
শীত চলে গেলেও মৌলভীবাজারের মনুরমুখ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান সাজুর ব্যক্তিগত অফিস সরকার বাজারে এখনো পড়ে রয়েছে এসব কম্বল।
স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান সাজু নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু কম্বল বিতরণ করেন। অবশিষ্ট কম্বল তার অফিসের একটি কক্ষে ফেলে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার বাজার এক ব্যবসায়ী বলেন, কম্বল সাজুর অফিসে দেখার পর আমরা বারবার বলেছি শীত চলে যাচ্ছে কম্বলগুলো হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য। কিন্তু প্যানেল চেয়ারম্যান শীতার্তদের মাঝে তা বিতরণ না করে নিজের অফিসে স্টক করে রেখেছেন। এটা একরকমের দায়িত্ব অবহেলা ও খামখেয়ালি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান সাজু বলেন, আমার সরকার বাজার অফিসে কে বা কারা কম্বল রেখেছে সেটা আমি জানি না। কেউ রেখে আমাকে ফাঁসাতে পারে। তবে রমজানের আগ থেকে আমি এই অফিসে বসি না।
মনুরমুখ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সরুফা আক্তার বলেন, সাজু প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছেন কিছু দিন আগে। যদি হতদরিদ্রদের কম্বল তাদের না দিয়ে নিজের অফিসে রেখে দেন তাহলে গরীবদের সাথে তামাশা করেছেন। বিষয় টি দেখে আইনানুক ব্যাবস্থা নিবো।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজ উদ্দিন বলেন, সাজুর বিরুদ্ধে আপনারা কেনো লেগেছেন। আর সামান্য কম্বল নিয়ে নিউজ করে কি করবেন? সাজুর বিরুদ্ধে অনেক দুনিতীর অভিযোগ আছে সেগুলো নিয়ে নিউজ করেন। পুটি মাছ না ধরে বোয়াল মাছ ধরেন। অনিয়মের নিউজ করলে তো আমি নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারবেন। আপনারা দেখে আমার পিছনে আগের নির্বাহী কর্মকর্তাদের নামের তালিকা নেই। এটা দিয়েও অনেক বড় কন্টেন বানিয়ে তোলপার করে দিতে পারেন। সাজুকে আমরা ইউনিয়নে বসিয়েছি চেয়ারম্যান এমদাত মামলার জন্য পলাতক। অনেক মানুষ আসে ইউনিয়নে স্বাক্ষরের জন্য,তাই সাজুকে দ্বায়িত দিয়েছি।