১০০ বছরের দীর্ঘতম এই চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে ১৯ নভেম্বর (শুক্রবার)। আর মাত্র কয়েকদিন পরই বিশ্ববাসী এ শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে। এই চন্দ্রগ্রহণ প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে জানা গেছে।
যদিও এটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ নয়। এই গ্রহণে ঢাকা পড়বে চাঁদের ৯৭ শতাংশ। ওইদিন পৃথিবী চলে আসবে সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে। পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপরে পড়ায় শুরু হবে গ্রহণ।
মহাজাগতিক এই দৃশ্য উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের একাংশ থেকেও দেখা যাবে। টাইম জোনের হিসাব অনুযায়ী, শুধু ১৯ তারিখ নয় বরং পৃথিবীর কয়েকটি দেশে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ১৮ তারিখেও।
অনেক ক্ষেত্রেই এক মাসের মধ্যে দু’টি করেও চন্দ্রগ্রহণ হবে। তবে দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের দেখা মিলবে এবারই। এই চন্দ্রগ্রহণ চলবে ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। ২০০১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে এটাই হতে চলেছে এই শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ। এই ১০০ বছরে মোট ২২৮টি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
বাংলাদেশ থেকেও এই চন্দ্রগ্রহণ কিছুটা দেখা যাবে। চন্দ্রগ্রহণ চলাকালে চাঁদের ৯৭ অংশ লাল হয়ে থাকবে যেটি ‘ব্লাড মুন’ নামেও পরিচিত। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রগ্রহণটি চরম অবস্থায় পৌঁছাবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টায়।
তবে ইন্টারনেটে দেখা যাবে এই গ্রহণ। নাসার লাইভ স্ট্রিম দেখতে পাবেন এই লিংকে- চন্দ্রগ্রহণ সবচেয়ে ভালোভাবে দৃষ্টিগোচর হবে উত্তর আমেরিকায়। সেখানকার ৫০টি প্রদেশ ও মেক্সিকো থেকে গ্রহণের প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারবেন মহাকাশপ্রেমীরা। তবে পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24