করোনার টিকা গ্রহনে সাধারন মানুষের বাড়তি চাপের কারনে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতে শুক্রবার ছুটির দিনেও করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে। ২৬তারিখের পরে টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হয়ে যাবে এমন খবরে ছুটির দিনেও টিকা দিতে ভিড় করছেন মানুষ টিকা দিতে পেরে খুশি তারা।
শুক্রবার সকাল থেকেই হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পৌরসভার টিকাদান কেন্দ্রে করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে। একইসাথে ভ্রাম্যমান টিকা দান কর্মসুচীর মাধ্যমে করোনার টিকার প্রথম ডোজ প্রদান চালু রয়েছে।
টিকা দিতে আসা শাহিদা বেগম বলেন, নানা কারনে আমরা এখনো টিকা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন শুনছি ২৬তারিখের পরে নাকি আর করোনা টিকার প্রথমডোজ দিবেনা। তাই শুক্রবার ছুটির দিনেও টিকা দিচ্ছে শুনে আমি হাসপাতালে টিকা দিতে এসেছি আর টিকা দিতে পেরে দারুন খুশি আমি।
টিকা দিতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, এতোদিন শারীরিক নানা সমস্যার কারনে টিকা দিতে পারিনি। এখন এই টিকা না দিলে বাজার ঘাট থেকে শুরু করে কোন জায়গায় যেতে পারবোনা কোন সরকারি অফিস আদালতে যেতে পারবোনা গাড়িতে উঠতে পারবোনা যার কারনে করোনা টিকার প্রথম ডোজ না পেলে খুব সমস্যা হয়ে যাবে।যার কারনে আজকে শুক্রবারেও হাসপাতালে এসেছি টিকার প্রথম ডোজ দিতে।
টিকা দিতে আসা কুমুদ এক্কা বলেন, আমরা পরিবারের সবাই টিকা দিতে হাসপাতালে আসছি ২৬তারিখের পরে আর নাকি টিকা পাওয়া যাবেনা তাই শুক্রবার ছুটির দিন তারপরেও টিকা দিচ্ছে শুনেই আমরা এখানে টিকা দিতে এসেছি।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডা.শ্যামল কুমার দাস বলেন, ২৬শে ফেব্রুয়ারীতে সারাদেশে একযোগে ১কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার যে প্রোগ্রাম আমরা সেটিকে ১৭ থেকে ২৬তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতিদিন করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আজকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পৌরসভার স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র চালু রেখেছি। সেই সাথে আমাদের ভ্রাম্যমান টিকাদান কেন্দ্র চালু রয়েছে তারা আজকে আলিহাট ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে অনগ্রসর মানুষকে টিকা প্রদান করছে।আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২৬তারিখের মধ্যে এই উপজেলার ৮০ভাগ মানুষকে করোনার টিকার প্রথমডোজের আওতায় আনতে ইতোমধ্যেই আমরা ৭০ভাগ মানুষকে এর আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে তাতে করে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।