ওয়ানডে বিশ্বমঞ্চে পাড়ি জমানোর আগেই বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। যদিও এটাই প্রথম না, ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে খেলার পর থেকে সেমিফাইনালই যেন সাকিবদের একমাত্র লক্ষ্যমাত্রা।
এদিকে বিশ্বকাপের পঞ্চম রাউন্ড শেষে খুব একটা স্বস্তিতে নেই সাকিব বাহিনী। পয়েন্ট টেবিলে এখন আটে আছে লাল-সবুজেরা। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে টাইগাররা। এ চার ম্যাচের মধ্যে কোনটিতেই নিজেদের চিরচেনা রূপ দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। আর রানরেটের মারপ্যাঁচেও বেশ পিছিয়ে লিটন-শান্তরা।
এমন পরিস্থিতিতে যদি-কিন্তুর ওপর টিকে আছে সাকিব আল হাসানের দলের সেমিফাইনাল স্বপ্ন। যা মেলানো বেশ কষ্টসাধ্যও বটে। তবে আপাতদৃষ্টিতে শুক্রবার ও শনিবারের (২৮ অক্টোবর) ম্যাচের ফলের দিকেই লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে টাইগারদের। কেননা, এ দুইদিনের তিন ম্যাচের ওপরেই বোঝা যাবে, আর কতদিন জিইয়ে থাকছে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল স্বপ্ন।
শুক্রবার দিনের একমাত্র ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচে হারলে অনেকাংশেই শেষ হয়ে যাবে দ্য গ্রিন ম্যানদের শেষ চারের স্বপ্ন। আর বাবর আজমদের হার স্বস্তির কারণ হবে বাংলাদেশের জন্যে। কেননা, টেবিলের চারে জায়গা করে নিতে পাকিস্তানের সঙ্গেও লড়াই করতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। আর পাকিস্তান জয় পেলে সেমির স্বপ্ন আরও কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের।
অন্যদিকে শনিবার খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উড়ন্ত প্রোটিয়াদের হারানো নেদারল্যান্ডস। কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেন্সে এদিন ডাচদের বিপক্ষে জিততেই হবে সাকিবদের। ডাচদের হার ছাড়া অন্য যেকোনো ফলই বিপদ ডেকে আনতে পারে লাল-সবুজ শিবিরে।
শনিবারে দিনের আরেক ম্যাচে মাঠে নামবে ২০১৫ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। এ ম্যাচে লাল-সবুজের প্রার্থনায় থাকবে নিউজিল্যান্ড। কেননা, চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিশ্চিত হয়েছে কিউইদের। অন্যদিকে অজিদের পয়েন্ট ৬। তাই এ ম্যাচে অজিরা জিতলে, তা বাংলাদেশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। আর অজিরা ক্রমাগত হারলে ও বাংলাদেশ ধারাবাহিক জয় পেলে, তা সাকিব বাহিনীর জন্য ইতিবাচক কিছু বয়ে আনবে।
সবমিলিয়ে দ্য গ্রিন ম্যানরা ও অজিরা নিজেদের ম্যাচে ধাক্কা খেলেই টিকে থাকবে বাংলাদেশের সেমির স্বপ্ন। আর অঘটনের উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ হেরে গেলে শুধু কাগজে-কলমে টিকে থাকবে সেমির স্বপ্ন। তাই আপাতত শুক্র ও শনিবারের তিন ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ভাগ্য।
এফআর/অননিউজ