নিজস্ব প্রতিবেদক।।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে কুমিল্লার প্রবাসীদের আয়োজনে কুমিল্লা নামে কুমিল্লা বিভাগ ঘোষনার দাবিতে গণস্বাক্ষার সংগ্রহ ও নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
রবিবার (৯ জুলাই ) লন্ডন সময় বিকেল ৫টায় লন্ডনের রয়েল রিজেন্সি হলে কুমিল্লা নামে কুমিল্লা বিভাগ চাই দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসরত কুমিল্লার প্রবাসীরা যুক্তরাজ্যে কুমিলা বিভাগ বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটি।
সফররত কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বিশে^ ছোট্র একটি দেশ বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব নেতা হয়ে উঠেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ অনেক মজবুত, তিনি বলেন ছোট দেশের রড় নেতা শেখ হাসিনা, অনেকে হিংসা করেন, ষড়যন্ত্র করেন শেখ হাসিনাকে থামাতে হবে। এমপি বাহার বলেন এটা ১৯৭৫ সাল নয়, ২০২৩ সাল, শেখ হাসিনাকে আটকে রাখা যাবে না, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতা, এখন ৪১ এর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করছেন। প্রবাসীদের জমকালো অনুষ্ঠানে দীর্ঘ বক্তৃতার শুরুতে শ্রদ্ধার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন, তিনি বলেন, একজন বঙ্গবন্ধুই দীর্ঘ সময় লড়াই সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। দেশ স্বাধীনের পর স্বল্প সময়ে বিদ্ধস্ত বাংলদেশ গঠনের কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু, দ্রæত সময়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে বদলে যেতে থাকে বাংলাদেশ, এমপি বাহার জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃতের কথা উল্যেখ করে বলেন, তখনই তিনি বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের কাজ শুরু করেছিলেন, পদ্মা সেতু, পারমানবিক পাওয়ার প্লান্ট সহ বাংলাদেশের উন্নয়নের সকল উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি দোসর আর রাজাকাররা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে এগুতে দেয়নি, ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রকারিরা স্বপরিবারে হত্যা করে। আটকে যায় বাংলাদেশে অগ্রযাত্রা। আবারো দীর্ঘ সময় পরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো ঘুরে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ।
এমপি বাহার ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীরঙ্গনা মা-বোনদের।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসরত কুমিল্লার প্রবাসীরা কুমিল্লা নামে কুমিল্লা বিভাগ ঘোষনার দাবিতে গণস্বাক্ষার সংগ্রহ কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও কুমিল্লার সদর আসনের সংসদ সদস্য কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের প্রথম ও প্রধান প্রবক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহারকে নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করে।
কুমিল্লা নামে কুমিল্লা বিভাগ ঘোষনার দাবি নিয়ে স্বোচ্ছার এমপি বাহার, কুমিল্লা ও বাংলাদেশের যেকোন অনুষ্ঠান ও আলোচনায় তিনি কুমিল্লা কে কুমিল্লা নামে বিভাগ করার দাবি জানান, এমপি বাহরের সাথে বিশে^র বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের সাথে রয়েছে আত্মার সম্পর্ক, কুমিল্লা নামে বিভাগের দাবি উঠার পর থেকে বিভিন্ন দেশের কুমিল্লার প্রবাসীরাও একত্রিত হতে থাকে, তারা সভা সমাবেশ, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কুমিল্লাকে কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষনার দাবি তোলেন, প্রবাসীরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও প্রবাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে আমন্ত্রন জানান, ইতিমধ্যে এমপি বাহার মধ্যপ্রাচ্য সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের আয়োজনে বিভাগের দাবির অনুষ্ঠানে অংশ নেন, তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন সফর করছেন তিনি।
এ সফরে এমপি বাহার সহধর্মীনী নারী নেত্রী কুমিল্লা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মেহেরেুন্নেছা বাহার, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসীন বাহার সূচনা, নাইস পাওয়ার আইটি লিঃ এর এমডি আয়মান বাহার সোনালী ও আজিজা বাহারসহ যুক্তরাজ্যের লন্ডন সফর করছেন। সেখানে প্রবাসীরা ১০ হাজার গনস্বক্ষর সংগ্রহ করে। লন্ডনের এ অনুষ্ঠানে কুমিল্লার ও কুমিল্লা জেলার বাইরের অনেক প্রবাসীরা অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ, অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, যুক্তরাজ্যে কুমিলা বিভাগ বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা রুহুল আমিন, উপদেষ্টা শফিকুল ইসলাম, ইউকে রিদমিক কেয়ারের প্রধান নির্বাহী টিউলিপ সুলতানা, যুক্তরাজ্যে কুমিলা বিভাগ বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির আহবায়ক, সাইফুল ইসলাম দুদু, সাংবাদিক ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যের কুমিলা বিভাগ বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক আমিনুল ইসলাম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জহিরুল ইসলাম, এহসান কবির, সোহেল করিম, খালেদ ইসলাম, শৈশব আহমেদ, তানভির, খোকন, ফয়েজ, মাহমুদুর রহমান, এমডিজে খোকন, আবুল কাসেম স্বপন, সাইফুর রহমান, সিয়াম, শ্যামল, খালেদ ইসলামসহ প্রবাসী নেতৃবৃন্দ।