শেরপুরে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম, অলস সময় কাটাচ্ছে আনসার সদস্যরা

আনলাইন ডেস্ক।।

চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল আটটা শুরু হওয়া এই ভোট গ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলবে। এই উপজেলার মোট ১০৭টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন ২লাখ ৯৩ হাজার ২৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৪৩ হাজার ৭১৩ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৯ জন ও হিজড়া ১ জন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন-উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ প্রতীক (আনারস), সহ-সভাপতি শাহ জামাল সিরাজী (মটরসাইকেল), বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের নেতা জাকারিয়া তারেক বিদ্যুৎ (ঘোড়া), সাবেক যুবলীগ নেতা এম এ হান্নান (জোড়া ফুল) ও জাতীয় পার্টির নেতা রুবেল আহম্মেদ প্রতীক (কাপ পিরিচ)। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ফাঁকা কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। এদিকে কেন্দ্রগুলো ফাঁকা হলেও অল্প সময়ের মধ্যে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে খুশি ভোটাররা। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ভালোই দেখা যায়।

সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের উচরং বন্দে আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি একবারেই কম। ভোটারদের কোনো দীর্ঘ লাইন নেই। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু ভোটাররা জানান, মানুষের মধ্যে ভোটের আগ্রহ কম। এছাড়া প্রার্থীদের পক্ষ থেকে তাদের এজেন্ট বা কর্মী-সমর্থকরা তাদের কাছে কেউ ভোট চাননি। এই কারণে তারা নিজ নিজ কাজে যোগ দিয়েছেন। ভোট দিতে যাবেন কি-না এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল মমিন বলেন, তার কেন্দ্রে ৩ হাজার ৭৫৪ ভোটের মধ্যে আড়াই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ৮০টি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, অবাধ সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই উপজেলায় ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার সদস্য, র‌্যাব, সাদা পোশাকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান তিনি।

সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24

আরো দেখুনঃ