ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে দেশের ৬০ উপজেলায় একযোগে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া আগের ধাপের ২০ উপজেলার ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ জুন।
নির্বাচন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬৭ হাজার ৭০৭ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাদের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি।
ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট ৬০ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
নির্বাচন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোট (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দুদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের এ ধাপে ৬০টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চতুর্থ ধাপের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আজ। এই ধাপে মোট ভোটার ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি।
দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। এর আগের তিন ধাপে ৩৮২ টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর ঘূর্ণিঝড় রেমালসহ বিভিন্ন কারণে ২৩টি উপজেলার নির্বাচন বাতিল ও স্থগিত হয়েছে।
প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে ভোট পড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২৮ জন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে অনুষ্ঠিত এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। আর সবশেষ ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24