বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর দলের মহাসমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে বোমা রেখে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কর্মসূচি পালনের ব্যবস্থা করতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এর দায় ক্ষমতাসীনদের।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে যান বিএনপির মহাসচিব। সেখান থেকে ফেরার পথে সকাল পৌনে ১১টার দিকে নয়াপল্টনের নাইটিংগেল মোড় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মির্জা ফখরুল। এ সময় পুলিশ তার গাড়িটি নাইটিংগেল মোড়েই আটকে দেয় এবং বিএনপি কার্যালয়ের দিকে যেতে বাধা দেয়। এরপর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে পুলিশকে বলতে শোনা যায়, ‘সরি স্যার, বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।’
এর উত্তরে পুলিশ সদস্যদের তিনি বলেন, ‘আমি আমার কার্যালয়ে যেতে পারব না? এটা কেমন কথা?’
সকালে আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫ নেতা হাজির হন আদালতে। অন্য নেতারা হলেন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সকাল ৮টার দিকে তারা আদালতে হাজির হন। সকাল ১০টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামানের আদালতে যান বিএনপি নেতারা।
ফখরুলের আইনজীবী মেজবা বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে শাহবাগ থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগের করা দুই মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০১৯ সালে হাইকোর্টের সামনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় বিএনপির ৭০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করে পুলিশ।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এ ঘটনায় ১ জন নিহত এবং কয়েকশ লোক আহত হয়েছেন।