জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল।।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পার্যায়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে উচ্চ শিক্ষাকে সহজতর করতে চেয়েছেন। সেই সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন মানের উন্নয়ন করতে চেয়েছেন। কারণ শিক্ষকের জীবন মানের উন্নয়ন ছাড়া উন্নত শিক্ষা সম্ভব না । অথচ নানা প্রকার নিয়মের যাতাকলে পড়ে কিছু সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আমরা যারা অন্য প্রতিষ্ঠানে ১০/১৫/২০ বছর চাকুরী করে উক্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন প্রতিষ্ঠানের যোগদান করেছিলাম, আমাদের পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের চাকুরীর অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অন্য প্রতিষ্ঠানে ১৫/২০ বছর চাকুরি করে প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ হিসেবে সদ্য জাতীয়করণকৃত স্কুল/কলেজে যোগদান করেছিলেন। শুধু তাই না, জাতীয়করণের সকল দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অথচ জাতীয়করণের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যারা সহকারী অধ্যাপক, উপাধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ, সরকারি প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক হয়েছেন তাদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা বাদ দিলে বর্তমান পদের যোগ্যতাও খর্ব হবে। কারণ যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে প্রবান শিক্ষিক/অধ্যক্ষ হতে হলে তাকে কমপক্ষে ১৫/১৬ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। অথচ এমন অনেক অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক আছেন যাদের পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা বাদ দিলে চাকরির মেয়াদ কাল ৫-৬ বছরও পূর্ণ হবে না। তারা আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উধ্বর্ত মহলের সহৃদয় বিবেচনার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। পাশাপাশি যারা এই ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনকৃত শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ আছেন তাদেরকে একই প্লাটফর্মে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজের দাবি আদায়ে জন্য সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ করছি। যেহেতু ২০২৩ এর বিধি নামে নতুন সংশোধিত একটা বিধি হতে যাচ্ছে, বিধিটি চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বেই আমাদের যৌক্তিক দাবি যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। নতুন বিধিতে অন্তর্ভুক্ত না হলে মামলার মাধ্যমে দাবি আদায় করা আরও সময় সাপেক্ষ হবে।