সরবরাহ কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে কাচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০টাকা করে। একসপ্তাহ পুর্বে প্রতি কেজি কাচামরিচ ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৬০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষজন অতিসত্বর দাম কমানোর দাবী জানিয়েছেন তারা।
হিলি বাজারে কাচামরিচ কিনতে আসা আব্দুল মালেক বলেন, একেতো বাজারে সবজিনিসের দাম বেশি একমাত্র কাচামরিচের দামটাই সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু সেই কাচামরিচে আবার আগুন লাগতে শুরু করেছে দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেছে। কদিন আগে যে কাচামরিচ ৩০টাকা কেজি দরে কিনলাম সেই কাচামরিচের দাম বেড়ে ৬০টাকা হয়ে গেছে। এতে করে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষজনের খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ব্যায়ভার মেটানো অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে বাধ্য হয়ে আগে যেখানে এক কেজি কাচামরিচ কিনতাম এখন সেখানে হাফ কিনছি এছাড়া তো কোন উপায় নেই। তবে এমনকি হলো যে অল্পকদিনের মধ্যেই দাম বেড়ে একেবারে দ্বিগুন হয়ে গেলো। বাজারে সব দোকানেই কাচামরিচ রয়েছে কিন্তু দাম বাড়তি এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া কিছুই নয়।
হিলি বাজারে কাচামরিচ কিনতে আসা রুবেল হোসেন বলেন, আমার হোটেল ব্যবসা যার কারনে প্রতি দিন ৪ থেকে ৫ কেজি করে কাচামরিচ লাগে। কিন্তু কয়েকদিন আগে যে কাচামরিচ ৩০টাকা কেজি দরে কিনলাম এখন সেই কাচামরিচ ৬০টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। একেবারে দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেছে এতে করে আমাদের বাড়তি ব্যায় হচ্ছে কিন্তু সেইভাবে তো আমরা হোটেলে খাবারের দাম বাড়াতে পারছিনা এতে করে আমাদের খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
হিলি বাজারের কাচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, দেশীয় কাচামরিচের দাম কম থাকায় পড়তা না থাকার কারনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভারত থেকে কাচামরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি বন্ধ থাকলেও বাজারে দেশীয় কাচামরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কমতির দিকে ছিল। কিন্তু গতকয়েকদিন ধরে আবহাওয়া খারাপ কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টি আবার কখনো প্রচন্ড গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। যার কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাচামরিচের ফুল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে চাহীদার তুলনায় কাচামরিচের সররবাহ কমে গেছে। এর কারনেই কাচামরিচের দাম বাড়ছে এতে কোন ধরনের সিন্ডিকেট বা কোন কিছু নেই। আবার আবহাওয়া ভালো হলে বাজারে কাচামরিচের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, বাজারে কেউ যেন কোন পণ্যের কৃতিম সংকট তৈরি করে তার মুল্যবৃদ্ধি করতে না পারে এজন্য আমরা নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করছি। প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে দাম বাড়ানোর অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com