আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাপ বিদেশ থেকে আছে, দেশে তো আছেই। আমরা সব চাপ মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখি৷ জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো চাপই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) নতুন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সচিবালয়ে প্রথম দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
দেশি বিদেশি চাপ আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশ থেকে আছে, দেশে তো আছেই৷ আমরাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। মাটি ও মানুষের সঙ্গে যে সরকারের, যে দলের সম্পর্ক, সেই দল কোনো বিদেশি চাপ বা দেশি চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না। আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। পথে পথে বাধা, পদে পদে বাধা- এটা আমরা অতিক্রম করেছি।
তিনি বলেন, আমরা অতিক্রম করেছি নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি। এখন নির্বাচন তো হয়েই গেছে। অনেকে ভেবেছে এই নির্বাচন আমরা করতে পারবো না। তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়িত করেছি। এখন চ্যালেঞ্জ আসবে আমরা জানি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করেছিলাম তখন কেউ ভাবেনি এটা শেষ করা সম্ভব হবে৷ বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না৷ কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি৷ মেট্রোরেল দিয়ে যে এ শহর সমৃদ্ধ হবে এ কথাও কেউ ভাবেনি৷ কিন্তু সেটাও শেখ হাসিনার সরকার উপহার দিয়েছে৷ আমাদের অনেক কাজ আছে সামনে৷ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে৷ তবে এখনও আমরা সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে পারিনি৷
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একযোগে একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা করতে পারলে রোড সেফটি নিশ্চিত হবে। আজ অনেক রাস্তা হচ্ছে। রাস্তাগুলো স্মার্ট করতে হবে। এ বিষয়গুলোও আমরা দেখবো। অনেক সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
বিরোধী দলের প্রতি বার্তা দিতে চান কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, এ দেশটা সকলের৷ দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না৷ সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে৷ আমরা চিরজীবন ক্ষমতায় থাকব না৷ একটা দল চিরজীবন ক্ষমতায় থাকেও না৷ এ দেশের সকল সম্পদ জনগণের৷ বিরোধী দলের যারা আছে তারাও এ সম্পদের অংশীদার৷ কাজেই উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেটা ২০৪১ সাল অবধি আমাদের ভিশনে নিয়ে যেতে হবে৷
সূত্র : একুশে টেলিভিশন
এফআর/অননিউজ