সমকামী চরিত্রে আলোচিত বাঁধন
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। ইতোমধ্যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পা রেখেছেন বলিউডেও। গত ৫ অক্টোবর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে বাঁধন অভিনীত ‘খুফিয়া’। মুক্তির পরই ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সিনেমাটি। এটি নির্মাণ করেছেন বিশাল ভরদ্বাজ।
মুক্তির পর বাঁধনের ‘খুফিয়া’ দেখে দুই দেশের শোবিজে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি। তার অভিনয়ে যেমন প্রশংসা পেয়েছেন, ঠিক তেমনি কিছু কারণে বেশ সমালোচিতও হয়েছে। ছবিটির কাহিনি এগিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এক অফিসারকে ঘিরে, যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টাবু। বাংলাদেশে অপারেশনে এসে তার পরিচয় ঘটে হিনা রহমানের সঙ্গে। আর এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন।
সিনেমায় বাঁধনকে একজন সমকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের পরিবার, সমাজ ও সামাজিক মূল্যবোধ অনুযায়ী এ চরিত্রটি তাই হয়ে পড়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। পর্দায় টাবুর সঙ্গে বাঁধনের সমকামিতা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। তবে এসব সমালোচনা তোয়াক্কা করছেন না বাংলাদেশি এই অভিনেত্রী। বলিউডে প্রথম ছবিতে স্বল্প স্ক্রিন উপস্থিতি থাকলেও বাঁধনের অভিনয় সমাদৃত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বাঁধন বলেন, বিশাল ভরদ্বাজ আমাকে আগেই বলেছিলেন, এই ছবিতে একটা সমকামিতার বিষয় রয়েছে। কোনো সমস্যা হবে কি না জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার কাছে বলিউডে অভিনয়, বিশাল ও টাবুর সঙ্গে কাজ করার সুযোগটাই বড় মনে হয়েছে। তার কথায়, আমি জানি কেউ কেউ বলাবলি করবে। সমাজের কিছু লোক সংকীর্ণ মনের। কিন্তু এটাও ঠিক বাংলাদেশ সবাইকে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার দিয়ে রেখেছে।
বাঁধন আরও বলেন, আমার বয়স এখন চল্লিশ। ৩৫ বছর বয়সে জীবন নতুন করে শুরু করেছি। তার আগে একটা বাঁধন ছিল, তারপরেও একজন বাঁধন রয়েছে। আগে পরিবার, বন্ধু, সমাজের জন্য বাঁধন বেঁচেছে। এখন বাঁধন বাঁচে নিজের জন্য। কোনো শিকল নেই তার।
প্রসঙ্গত, থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটিতে বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করছেন টাবু, আলী ফজল, আশিস বিদ্যার্থী ও ওয়ামিকা গাব্বি। নেটফ্লিক্সের এ সিনেমাটি নির্মিতি হয়েছে অমর ভূষণের বই ‘এসকেপ টু নোহোয়ার’ অবলম্বনে। যেখানে গল্পের প্রয়োজনে একজন বাংলাদেশের অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল পরিচালকের।
এফআর/অননিউজ