বঙ্গোপসাগরে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে উপকূলীয় ১৪ জেলায় দুই থেকে চার ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে এক পূর্বাভাসে এই আশঙ্কার কথা জানান আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির। এই অবস্থায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর) ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, ওড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম ছাড়াও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই-চার ফুটের অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
এদিকে, আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, উড়িষ্যা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এমন অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু স্থানে এবং রাজশাহী বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। পরবতী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে টেকনাফে ৬০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুর ও সিলেটে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।