পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম খাদ্য কর্মসূচির ডিও ছাড় দিতে ডিলারদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে চাল তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলাররা। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না।
জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রতি ইউনিয়নে ২-৩ জন করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের জন্য ৩৯ জন ডিলার নিয়োগ করে কর্তৃপক্ষ। ওই ডিলাররা জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বছরে ৫ কিস্তিতে ১৯ হাজার ৮১ জন উপকারভোগীর কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করেন। কিন্তু ডিলারদের চালের ডিও নিতে দিতে হয় ঘুষ। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি অফিসে দুই এক পয়সা না দিলে অফিস চলে? এটা তো সিস্টেম, সব জায়গায় এমন চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিও নিতে হলে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। অন্য অফিসেও ১ হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে। এই ডিলারশিপ নিয়ে আমরা বিপাকে আছি। এভাবে হয়রানি বন্ধ হওয়া দরকার।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, রফিকুল ইসলামকে বদলির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। অলরেডি তার বদলি হয়ে গেছে।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24