নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সরকারি অর্পিত সম্পত্তির ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। উপজেলা নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বানেশ্বরদী বিল থেকে তিন ফসলি জমি থেকে এই মাটি কাটা হচ্ছে।
কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি থেকে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে একদিকে যেমন ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
স্থানীয় বানেশ্বরদী গ্রামের বাসিন্দা আ: করিম বলেন, জমি গভীরভাবে খনন করে বালু উত্তোলন কাজে জড়িত রয়েছেন নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাটি সন্ত্রাস শামীম মিয়া ও তার সহযোগী নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম শামসুর ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম এবং ভাইয়ের ছেলে রাসেল।
স্থানীয় বারদি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা একাধিকবার মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য যুবলীগ নেতাদের নিষেধ করলেও ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মাটি কেটে পুকুর বানানো থামেনি।
তারা সরকারি অর্পিত সম্পত্তির ২৮৬ শতাংশ জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছেন।
বালুখেকোরা সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থাকায় কেউ তাদের এই অপকর্মে বাধা দিতে সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জমি থেকে গভীরভাবে খনন করে বালু উত্তোলন করায় আশপাশের জমি ভেঙে পড়ছে। কৃষকরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন কখন কার জমি ভেঙে পাশের গর্তে পড়ে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, বানেশ্বরদী,দড়িপারা,ভিটিপারা,উত্তর পরমেশ্বরদী, পেকিরচর গ্রামের ফসলি জমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কাটে পুকুর বানানোর কারণে আশপাশের কৃষকদের জমির মাটি ভেঙে যাচ্ছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে এক মাস ধরে যুবলীগ নেতারা মাটি সন্ত্রাস করছেন।
বারদি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস,এম হাবিবুর রহমান বলেন, ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করে সরকারি অর্পিত সম্পত্তি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য একাধিকবার যুবলীগ নেতাদের নিষেধ করেছেন। কিন্তু কোন নিষেধাজ্ঞা মানছে না।
অভিযোগের ব্যাপারে যুবলীগ নেতা শামীম মিয়া বলেন,সরকারি অর্পিত সম্পত্তি এত দিন যার দখলে ছিল, তাদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে তারা জমির মাটি কিনে নিয়েছেন। এতে অন্যায় হলে ড্রেজার বন্ধ করে দেবেন।