দেশের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
আর কেউ সম্পদের হিসাব না দিলে 'খবর আছে' বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন জনপ্রশাসন সচিব।
তিনি বলেন, সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দিতে একটি সহজ ফরম তৈরি, জমা দেওয়ার সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেওয়ার প্রক্রিয়া কীভাবে হবে তা এই কমিটি থেকে আগামী সাতদিনের মধ্যে কমিটি সুপারিশ করবে বলে জানান মোখলেস উর রহমান। বলেন, তার পরে সাতদিনের মধ্যে দেশে সব সরকারি অফিসে সবার জন্য ফর্ম পৌঁছে দেয়া হবে।
'সব মিলিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে,' যোগ করেন জনপ্রশাসন সচিব।
এর আগে রোববার সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে চাকরিতে প্রবেশের সময় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দিতে হয়। এরপর পাঁচ বছর অন্তর সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার নিয়ম।
তবে এই নিয়ম মানা হয় না বললেই চলে। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি দিলেও অগ্রগতি হয়নি।
মোখলেস উর রহমান বলেন, সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগে শুধু কর্মকর্তাদের কথা বলা হতো। কিন্তু দেখা গেছে, যারা আয়কর দেয় না, এমন অনেক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কাছেও অনেক অবৈধ সম্পদ...চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কাছেও চারশো কোটি ৯০০ কোটি বা এমন বড় বড় সম্পদ পাওয়া যাচ্ছে।
'সম্পদের হিসাব জমা না দিলে কী হবে সেটা আমরা অবশ্যই বলে দেবো। জমা না দিলে খবর আছে, সোজা কথা। আইনানুগ খবর আছে। খবরটা কী সেটা যখন চিঠি (ফরম) দেবো, তখন বলে দেবো,' যোগ করেন তিনি।
দেশে ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারি রয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এই সচিব বলেন, পর্যায়ক্রমে সস্পদের প্রকারভেদ অনুযায়ী পাঁচ ধরনের ফর্ম তৈরি করবে। যারা ট্যাক্স দেয় না তাদের জন্য ভিন্ন ফর্ম তৈরি করা হবে।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24