শৈত্য প্রবাহের কারণে বিদ্যালয় বন্ধের সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের জেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয় খোলার নির্দেশ দিয়েছেন । তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলেও বিদ্যালয় খোলা রাখাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ২৮ তারিখের স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়ে ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ৯টা থেকে জেলার সব কথটি মাধ্যমিক সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথারীতি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া জানায়, তীব্র ঠান্ডার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। ঠান্ডা কমে যাওয়ায় স্কুল খুলেছে। স্কুলে এসে তার ভালো লাগছে।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ঠান্ডা কমে যাওয়ায় বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে যাওয়ার কারণে পাঠ গ্রহণে আগ্রহ বাড়ছে শিক্ষাথীদের। পাঠদান নিয়মিত শুরু হওয়ায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে সরকারি নিশেধাজ্ঞা ছিল ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা বিরাজমান থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাপমাত্রা ৯ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসা উল্লেখ করে চিঠি দিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু তাপমাত্রা এখনও ৯ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার পরও তিনি গতকাল ২৮ জানুয়ারি ক্লাস শুরুর সময় পিছিয়ে দিয়ে চিঠির মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দেন। ফলে ১০ দিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান শুরু হয়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১৫ দিন থেকে আবহাওয়া ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে উঠা-নাম করছে। সোমবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া এ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তারপর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশীদ জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। রৌদ্রজ্জল আবহাওয়া বিরাজ করায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থী উপস্থিতি সন্তোষজনক।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম জানান, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে গত ১০দিন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ২দিন ধরে দিনে সূর্যের আলো সকাল ৮টার পর থেকে দেখা দেওয়ায় এবং আবহাওয়া ভালো হওয়ায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এফআরে/অননিউজ