কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।
কুড়িগ্রাম শহরে সস্ত্রাসী আলীগং কর্তক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন ইসলাম এ্যাপোলো ও তার চাচা হামলার শিকার হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
গত ১৫ অক্টাবর ২৩ইং রবিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, অটাে ময়দা মিল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য শহরের ভেলাকোপায় একটি জমি কিনে একটি আধুনিক অটাে ময়দা মিল প্রতিষ্ঠা করেন ব্যবসায়ী এ্যাপোলো। এই ময়দামিল প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে স্থানীয় আলী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিরোধ সষ্টি হয়। আলী স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় একসময় ওই জমি নিজের দখলে নিয়ে নেন। এ নিয়ে মামলা-মাকদ্দমা চলার এক পর্যায়ে স্থানীয় কিছু ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সমাধান হয়। ব্যবসায়ী এ্যাপোলো ওই এলাকায় বহিরাগত হওয়ায় বিশ শতক জমি কয়েক লাখ টাকার বিনিময় সমাধান করত বাধ্য হয়। মিলটি চালু হওয়ার পর আলীগং মিলটির সীমানা প্রাচীরের চতুর্দিকে গর্ত করতে থাকে। একপর্যায় সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হলে রড দিয়ে টানা দিয়ে প্রাচীরটি রক্ষা করা হয়। সমাধানকারী ব্যক্তিবর্গকে এসব কিছু জানালে তারা ভয়ে কিছু করত পারবে না বলে এ্যাপোলোকে জানিয়ে দেয়।
এ দিকে গত ১৫ই অক্টােবর বিকেল চারটায় মোহাম্মদ আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, রিপন, রনি, রাকিব সহ প্রাচীরর চতুর্দিক গর্ত খুঁড়তে থাকে। এতে এ্যাপোলো বাধা দিলে মোহাম্মদ আলী এবং তার ছেলেরা দা ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে এ্যাপোলো কে গুরুতর আহত করে। তাকে বাচাতে গিয়ে তার চাচা দায়ের কোপ খেয়ে সে ও গুরুতর আহত হন। পড়ে সস্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় আরাে হুমকি দেন যে বেশী বারাবারি করলে বোমা মেরে সবকিছু উড়িয়ে দিবে। গুরুতর আহত ব্যবসায়ী এ্যাপোলো ও তার চাচাকে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। সেখানে ব্যবসায়ী এ্যাপোলোকে চিকিৎসা দিয়ে রাখার পড় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেন। বর্তমানে ব্যবসায়ী এ্যাপোলো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য এভাবে হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রামের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীদর আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে রাশিদুল ইসলাম জঙ্গি সদস্যর একজন সক্রিয় সদস্য। সে ইতিপুর্বে ৭ বছর জেল হাজতে ছিল।
এ ব্যাপার সাইফুদ্দিন এ্যাপোলোর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এর আগেও আমার এবং আমার পরিবারের উপর মােহাম্মদ আলী গং কর্তক সস্ত্রাসী হামলা হয়ছে। এবং কয়কটি মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। সে মামলাগুলো আপোস মিমাংসা ও হয়ে যায়। পড়ে আবার তারা নতুন করে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। শেষে এ ঘটনা নিয়ে গত ২১/১০/২৩ ইং তারিখে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। যার মামলা নং ২৩ তারিখ ২১/১০/২৩ ইং। মামলা দায়েরের পড় পুলিশ মামলার এজাহার ভুক্ত ১ নং আসামি মোহাম্মদ আলীকে গত ২৩ তারিখে গ্রাফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রাফতারে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান পুলিশ।এ ঘটনায় ৮৭ সালের বন্ধু পরিষদের সমন্বয়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক এড. আহসান হাবীব নীলু নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
এফআর/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com