খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে প্রাথমিক বরাদ্ধে ৩ কোটি টাকার অডিটোরিয়াম ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, সে সময় সাংবাদিকেরা তাঁর সামনে বক্তব্যগুলো ভিডিও ধারণ করলে সাংবাদিকদের বলেন সামনে থেকে সরে যাও, সাংবাদিকদের ট্রেণিং নাই, তাদের ট্রেণিং নিতে হবে।
মন্ত্রী এসব কথাবার্তায় ও আচরণে খাগড়াছড়ির জেলার পেশাদার সাংবাদিককেরা সম্মানহানি ও মনে ভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে বলেছেন, টিভি সাংবাদিকতা করি মন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ কথা বললে সে বিষয় তোলে ধরা আমার কাজ। মন্ত্রী হওয়ার পরে কি মিডিয়া ছাড়া চলবে এবার থেকে?
আবার অনেকে বলে, আমরা তাঁর উন্নয়ন কর্মকান্ড, জনগণের সেবা গুলো টেলিভিশনও খবরে কাগজে পাতায় প্রচার করেছি বলে এমপি থেকে মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রী হয়ে গেলে কি কি বলবে অবাক?
সিনিয়র সাংবাদিকরা প্রথম সারিতে অনেকে বসেছে দেখে মন্ত্রী আরো বলেন, প্রথম সারিতে জেলা পরিষদ সদস্যরা বসতে পেল না। জেলা পরিষদ সদস্যরা দ্বিতীয় সারিতে বসতে হলো এসব মন্তব্য করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচন মুখী না হওয়ায় এসব আচরণ বার বার চোখে পরার মতো।
গনমাধ্যমকর্মী হলাপ্রু মারমা বলেন, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন,
দেশ ও সমাজের প্রয়োজনে সাধারণ মানুষ বা অন্য পেশাজীবীরা যা করতে পারেন না সাংবাদিকেরা তা পারেন। অর্থাৎ সাংবাদিকদের হাতে রয়েছে অনেক ক্ষমতা। সাংবাদিকতা একটা নীতি নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন পেশা, যা মর্যাদাসম্পন্ন। সাংবাদিকরা বিপদে মানুষকে সাহায্য করতে পারেন, পারেন সমাজের যে কোন অন্যায় অসংগতির প্রতিবাদ করতে।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরো বলে ছিলেন, আমরা কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য মাইকে দিই সেটা শোনা যায় খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বর পর্যন্ত। সাংবাদিকেরা একটি শব্দ লিখলে সারাদেশে পৌঁছে যায়। তাঁর কথার মূল্য আজ কোথায়? মূলত কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা তখন ২৯৮ নং আসনে পদ প্রার্থী ছিল।
সূত্রে জানা যায়, নেতা চোখে সাংবাদিকরা ছোট। অফিসারদের চোখে সাংবাদিকরা হলো অফিসের কর্মচারী মতো। যখনি প্রয়োজন তখনি ডাকবো ব্যবহার শেষ হবে সাংবাদিকদের খবর রাখবে না।
সাংবাদিকরা ফেসবুকে অনেকে লিখেছে, প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি গতকালের কথাবার্তা ঠিক ছিল। সেখান থেকে শিক্ষা অর্জন নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞ সূত্রের মতে, নেতা চেয়ার আজ আছে কাল থাকবে না, রাস্তায় হাতবে। কিন্তু সাংবাদিকেরা পেশা না বদালে মৃত্যু পর্যন্ত সাংবাদিক, সম্মানের জায়গা থাকবে।
এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তাধর, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতি পদ দেওয়ান।