নাটোরের নলডাঙ্গায় একটি মাদরাসা ও এতিমখানায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় চার ভুয়া সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরের পর উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক চারজনকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা ওই মাদরাসার শিক্ষকদের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেছিল।
আটককৃতরা হলেন ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে মো. লিমন হোসেন (২৭), গাজিপুর জেলার মোঘরখাল এলাকার আবু সাইদ সরকারের ছেলে মো. জয় সরকার (২৮), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হামরাজ গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. ইউনুস আলী জয় (২৭) ও শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ভারতকান্দি গ্রামের মৃত শাহিন মিয়ার ছেলে মো. সিহাব মিয়া (২৪)।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ারুজ্জামান আটকের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতরা সকলেই নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন। তারা নিজেদের দৈনিক আজকের বসুন্ধরা, এই বাংলা, চ্যানেল ২১ ও বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ও স্টাফ রিপোর্টারের পরিচয় দেন এবং তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার পরিচয়পত্র ও লোগো দিয়ে স্টিকার লাগানো ৪টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তবে তারা প্রকৃত সাংবাদিক কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ওসি বলেন, আটককৃতরা মাদরাসায় গিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তাদের কথাবার্তায় সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয় লোকজন প্রথমে তাদের আটক করেন। পরে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় গৌরিপুর হাফেজিয়া এবতেদায়ি মাদরাসা ও এতিমখানায় কর্মরত প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বাদি হয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা তিন যুবক ও গাড়ি চালককে আসামি করে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।