আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপকে তছনছ করে দিয়েছে টাইগার বাহিনী। সাকিব-মেহেদির ঘূর্ণিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছে আফগানরা। এর মধ্যে সাকিব একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর মেহেদি নেন ২ উইকেট।
সবশেষ উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। নিজের সপ্তম ওভারে রশিদ খানকে ফেরত পাঠান মিরাজ। এর আগে তাসকিন আহমেদদের বলে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন মোহাম্মদ নবি। ১২ বলে ৬ রান করেন আফগান অলরাউন্ডার।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। আর ব্যাটিংয়ে নেমে চার-ছক্কায় দলীয় সংগ্রহ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল দুই আফগান ওপেনার। তখন বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। আর নিজের দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন ইব্রাহিম জারদানের উইকেটটি।
ইনিংসের সপ্তম ওভারেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। নিজের হাতে বল তুলে নেন সাকিব। প্রথম ওভারে বাউন্ডারি হজম করেছেন। তবে পরের ওভারে দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পান অধিনায়ক সাকিব। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে এডজ হয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছেন ইব্রাহিম।
এরপর রহমত শাহকে নিয়ে রানের চাকা ঘুরাচ্ছিলেন গুরবাজ। দুজনে মিলে ৩৬ রানের জুটি গড়ার পর পানি বিরতি দেয়া হয়। সেই জুটি বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগে পানি বিরতির পরপর আবারও আঘাত হানেন সাকিব। এবার সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্রিজের ভেতরই লিটন দাসকে ক্যাচ দেন রহমত। ২৫ বলে ১৮ রান করেন আফগান ব্যাটার।
হাশমতউল্লাহ শহীদিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। ৩৮ বলে ১৮ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। শহীদি আউট হওয়ার পর আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৫৫ রান নিয়ে ব্যাট করছে আফগানিস্তান। ক্রিজে রয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মুজিব-উর রহমান।
এফআর/অননিউজ