সোনাগাজীতে জিয়াউল হক নামে সাবেক এক সেনা সদস্যের জমি জবরদখলের পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি তার দুই ভাই ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, এর আগে জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সোনাগাজী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চরগণেশ গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য জিয়াউল হক ৮২ নং চরগণেশ মৌজায় ১৩ শতক ভূমির মালিক হিসেবে ভোগ দখলে রয়েছেন। উক্ত জমি জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে তার সহোদর মহাবুবুল হক, আবুল কাশেম, মাহবুবুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম রাজু, কাশেমের ছেলে হোসাইন আহম্মদ, কাশেমের স্ত্রী আসমা আক্তার।
উপায়ন্ত না দেখে জিয়াউল জমিটি বিক্রি করতে খরিদদারদের ঘটনাস্থলে নিলে তাদেরকেও ভয়ভীতি দেখান বিবাদীরা। আগামী কিছু দিনের মধ্যে তিনি পবিত্র হজ্জব্রত পালনের জন সস্ত্রীক সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বিবাদীরা তার পাশের জমিতে মাটি রেখে পর্যায়ক্রমে তার মালিকীয় জমিতে ভরাটের পাঁয়তারা করছেন। তিনি এসব বিষয়ে ন্যায় বিচার পেতে সোনাগাজী পৌর আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পৌর আদালত আগামী মঙ্গলবার শুনানীর দিন ধার্য করে উভয় পক্ষকে নোটিস প্রদান করে। পৌরসভাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাহবুবুল হক গং গায়ের জোরে শনিবার ভোরে কয়েক গাড়ি ভিটি বালি দিয়ে ভরাট শুরু করে। এব্যাপারে সাবেক সেনা সদস্য জিয়াউল হক সোনাগাজী মডেল থানায় শনিবার সকালে আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোনাগাজী মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে উক্ত জমি ভরাটে নিষেধ করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সাবেক সেনা সদস্য জিয়াউল হক বিবাদীদের জবরদখল, হামলা ও নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ফরহাদ/অননিউজ