সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ প্রদানের বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে আগামী ১০জুন পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। তবে করোনার বুস্টার ডোজের টিকা গ্রহন করা মানুষের হার বেশ কম লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাাপিত বুথে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ প্রদানের এই কার্যক্রম শুরু হয়। একইসাথে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতেও এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।বুস্টার ডোজ দেওয়া থেকে বাদপড়া লোকজন সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলিতে উপস্থিত হয়ে এই টিকা গ্রহন করছেন। কোনধরনের ঝামেলা ছাড়াই টিকা দিতে পেরে দারুন খুশি তারা
টিকা দিতে আসা পারভেজ হোসেন বলেন, আমি হিলিতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিয়েছি। তিন মাস আগে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ম্যাসেজ আসলেও চাকুরির সুবাদে চট্টগ্রামে ছিলাম যার কারনে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়ে উঠেনি। তাই আজকে হিলিতে এসেছিলাম এখানে বুস্টার ডোজ নিলাম আমার কোন সমস্যা হয়নি খুব ভালো আছি। টিকা দিলে নিজে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকবো দেশ মহামারি থেকে ভালো থাকবে তাই যারা এখনো এই টিকা দেননি তাদেরকে এই টিকা দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.রাকিব হাসান বলেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাক্রমে আজ ৪জুন থেকে ১০জুন পর্যন্ত সাতদিনব্যাপী বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। হিলিতে এ পর্যন্ত ১ম ডোজ নিয়েছে ৮০ হাজার ৫২৮জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৭৩হাজার ১৯৩জন, তৃতীয় ডোজ নিয়েছে ১১হাজার ১৬৭জন। করোনার ১ম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাভারেজ বেশ ভালো হলেও বুস্টার ডোজ নেওয়ার হার কম এই হার বাড়াতে তাই বাদপড়া এসব মানুষকে এর আওতায় আনতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষ আগ্রহী হয় বুস্টার ডোজের ব্যাপারে বেশি বেশি মানুষ যেন এই ডোজ দিতে আসে। এক্ষেত্রে যাদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া কমপক্ষে ৪মাস হয়েছে তারা সবাই টিকা কেন্দ্রে আসলে তাদেরকে এই বুস্টার ডোজের আওতায় আসবে।