করোনা সংক্রামন রোধে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতে ১২-১৭বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদান শুরু হয়েছে।গাদাগাদি করে সমাবেশের মতো নির্ধারীত বুথের সামনে দাড়িয়ে শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহন করছেন তবে অনেক শিক্ষার্থীকেই টিকা নিতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত বুথে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম। একইসাথে হাকিমপুর পৌরসভা ও আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের পৃথক দুটি বুথে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা লম্বা লাইনে দাড়িয়ে করোনার টিকা গ্রহন করছেন।
টিকা গ্রহন করা শিক্ষার্থী তানজিলা আকতার বলেন, আজকে আমাদেরকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলি টিকা দিতে নিয়ে আসছে। এই টিকা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে বিশেষ করে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের যে ভয় ছিল সেটি দুর হয়ে গেলো। এরপরে আমরা সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্নভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারবো ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারবো।
এসএসসি পরিক্ষার্থী কামরুন নাহার বলেন, আমি ২০২২সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী, এসএসসি পরিক্ষার জন্য টিকা দেওয়া বাধ্যতামুলক টিকা না দিলে পরিক্ষা দেওয়া যাবেনা। সেজন্য সবাই আমরা টিকা দিতে আসছি আমরা টিকা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে আমরা চাইযে করোনা মুক্ত হোক আমরা যেন ঠিকভাবে স্কুলে আসতে পারি আর সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে যাতায়াত করে এটাই কামনা।
টিকা দিতে আসা সুমাইয়া আকতার নামের অপর শিক্ষার্থী বলেন, যদিও আমরা টিকা নিতে আসছি কিন্তু যেহেতু সবাই একসাথে মিলে একটা সমাবেশের মতো অবস্থার তৈরি হচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানতে পারছি সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন থাকে। কিন্তু তারপরেও টিকা নিতে আসছি সামনে পরিক্ষা টিকা ছাড়া পরিক্ষা দেওয়া যাবেনা। তাছাড়া সকলে মিলে একসাথে ক্লাসে গেলে সমাবেশ একটা হয় বা সামাজিক দুরত্ব খুব একটা মানা যায়না তাই টিকার গুরুত্ব অনেক।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শ্যামল কুমার দাস বলেন, আজকে সারাদেশের ন্যায় হিলিতে ১২ থেকে ১৭বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনার ফাইজারের টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বুথসহ মোট ৩টি বুথে এই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। আগামীকাল পর্যন্ত এই টিকা প্রদান কার্যক্রম চলবে।আমাদের উপজেলায় ১২ থেকে ১৭বছর বয়সি সাড়ে ৮হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে যার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪হাজার ৮শ টিকা পেয়েছি যার কারনে ওই পরিমান শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করা হবে।পরবর্তীতে টিকা পাওয়া স্বাপেক্ষে বাকিদের টিকা প্রদান করা হবে।