সিটির ট্রেবল জয়ের পথে বাধা ইন্টার মিলান
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে শনিবার তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে মুখোমুখি হবে সদ্য প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করা ম্যানচেস্টার সিটি ও সিরি ‘আ’ লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান। এ ম্যাচে জয় পেলে ট্রেবল জয়ের রেকর্ড বইয়ে ঠাঁই পাবে ম্যানসিটি। এর আগে, প্রিমিয়ার লিগের একমাত্র ক্লাব হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এক মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও এফ এ কাপের শিরোপা জিতেছিল।
ক্রমেই ইংল্যান্ডের প্রভাবশালী দলে পরিণত হয়েছে ম্যান সিটি। গত ১২ মৌসুমে সাতবারই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে দলটি। গত সপ্তাহে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান ইউকে হারিয়ে এফ এ কাপের ট্রফিও ঘরে তুলেছে তারা। আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানকে হারাতে পারলেই ট্রেবল শিরোপা জয়ে অ্যালেক্স ফার্গুসনের ইউনাইটেডের সহাবস্থানে পৌঁছে যাবে সিটি। এর আগে, ১৯৯৯ সালে ট্রেবল জিতেছিল ম্যানইউ।
এবার ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে গেছে গতবার সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়া সিটি। চলতি মৌসুমে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে হারিয়ে ফাইনালে সিটিজেনরা। আর্লিং হলান্ডের অন্তর্ভুক্তিতে নতুন এক উচ্চতায় পেপ গার্দিওলার দল। যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমেই ক্লাবটির হয়ে রেকর্ড ব্রেকিং ৫২ গোল করেন তিনি। তাই ফাইনালে ইন্টার মিলানকে নিয়েও খুব একটা ভীত নয় ম্যান সিটি।
সিটির অধিনায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা ভাষ্যমতে, আমরা এখনও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় করতে পারিনি। আট বছর ধরে আমি এখানে আছি এবং দারুণ সময় পার করছি। এই সময়ে এতগুলো শিরোপা জয় করতে পারব, তা কি ভাবতে পেরেছিলাম? সম্ভবত পারিনি। তবে একটি শিরোপাই আমাদের অধরা থেকে গেছে, সেটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আশা করছি, শনিবার সেটি জয় করতে পারব।
অন্যদিকে ক্যারিয়ারের তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের পথে থাকা ইন্টার মিলানের বাধা উপেক্ষা করতে পারছেন না পেপ গার্দিওলা। কেননা, বার্সেলোনা, বেনফিকা ও নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছে ইন্টার।
লড়াইয়ের বার্তাও দিয়ে রেখেছে দলটি। দলে আছেন ৩৭ বছর বয়সী এডিন জেকোর মতো অভিজ্ঞ তারকা। এ মৌসুমে ১৪ গোল করেছেন তিনি। আরেক ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজের সঙ্গেও তার দারুণ বোঝাপড়া রয়েছে।
কোচ ইনজাগির দাবি, আমরা এমন একটি ফুটবল ম্যাচের কথা বলছি, যেখানে ভয়ের কোনো কারণ নেই। ডিফেন্ডার আলেসান্দ্রো বাস্তোনি যোগ করেন, আপনি একজন খুনিকে ভয় পেতে পারেন, ফুটবল খেলোয়াড়কে নয়। ভয়ের কথা বলাটা ভুল হবে।
এসকেডি/অননিউজ