আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত পঞ্চম ধাপের প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আদালতে ২১তম সাক্ষী বেবি বেগমের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচারিক কার্যক্রম। এ সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর, যথাক্রমে রবি, সোম ও মঙ্গলবার টানা তিন দিন হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দবকে আলোচিত এ মামলার ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ২১তম সাক্ষী বেবি বেগমের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগের একজনের জেরা বাকি রয়েছে। সেটিও আজ শেষ করা হবে। আজকে ১০ সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ২৮-২৯ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য নেওয়া হয় ছেনুয়ারা বেগম, আলী আহমদ, হাম জালাল, ফরিদুল মোস্তফা, সালেহ আহমদ ও বেবি বেগমের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চতুর্থ দফায় এ মামলায় ২০ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে ২০, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর তিন দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।
তৃতীয় ধাপের প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ ফিরোজ ও শওকত আলী নামে তিনজন। দ্বিতীয় দিন সাক্ষ্য দেন মারিশবনিয়া মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম ও ডা. রণবীর দেবনাথ। তাদের ১৫ আসামির আইনজীবী জেরা করে। এর আগে দ্বিতীয় ধাপের চার দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ধাপের চতুর্থ দিনে সাক্ষ্য দেন ৬ নম্বর সাক্ষী শামলাপুর বায়তুর নুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
সাইফুল ইসলাম সুমন,অননিউজ24।।