ভিকটিম মোছাঃ গুলনাহার পারভিন মিনু(৩০) গত ১৫ বছর পূর্বে আসামী মোঃ মেহেদী হাসান সুজন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বর্তমানে তাহার ০২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। সংসার জীবনে মেহেদী হাসান সুজন একজন র্গামেন্টস কর্মী।
চাকুরির সুবাদে স্ব-পরিবারে ঢাকায় বাসবাস করতেন। গত ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে গ্রামের বাড়ি শাহজাদপুরে স্ব-পরিবারে বেড়াতে আসেন। ভিকটিম মোছাঃ গুলনাহার পারভিন মিনু বিবাহের পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে স্বামীর সংসারে নির্যাতিত হয়ে আসছিল।
উল্লেখ্য যে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে ভিকটিমের স্বামী মেহেদী হাসান সুজন ভিকটিম মোছাঃ গুলনাহার পারভিন মিনুর সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে ভিকটিমকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারিরিক ভাবে নির্যাতন করে মাথার চুল এবং চোখের ভ্রু কেটে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে সিরাজগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উক্ত ঘটনাটি স্থানীয় জনগন এবং সর্বস্থলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং র্যাব-১২ এর নিকট আসামী গ্রেফতারের জন্য অভিযোগ দায়ের করেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২১/১২/২০২১ তারিখ ভোর ০৫.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মুশফিকুর রহমান এর নেতৃত্বে র্যাব-১২ এবং র্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং ঢাকার সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহারভুক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীঃ মেহেদী হাসান সুজন, মোঃ সুমন(৩৫),উভয় পিতা- মৃত আব্দুর রশিদ , মোছাঃ ময়না(৫৫),স্বামী- মৃত আব্দুর রশিদ, সর্ব সাং- খাস সাতবাড়িয়া, থানা-শাহজাদপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24