সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ দুই সিটির নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। সব কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দুই সিটিতেই উৎসবমুখর পরিবেশে চলে নির্বাচন। কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে।
এদিকে, বৃষ্টির কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ভোট শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে পৌনে ১২টা পর্যন্ত।
সিলেট সিটিতে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন হচ্ছে। আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।
মেয়র পদে অন্য প্রার্থী হলেন– ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা); জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া); মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট); মো. শাহজাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
এখানে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপরদিকে, রাজশাহী সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন।
মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা); জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল); ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম (হাতপাখা) এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। এ ছাড়া ১০টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এফআর/অননিউজ