সিলেট ও সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি সামান্য কমেছে
সিলেট ও সুনামগঞ্জে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় সকল নদ-নদীর পানি কমেছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮৬ দশমিক ১ মিলিমিটার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩০৭ মিলিমিটারের বেশি।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সিলেটে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অফিস। আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, সুরমা নদীর কানাইঘাট, সিলেট পয়েন্টে, কুশিয়ারা নদীর শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট, লুভা নদীর লুভাছড়া পয়েন্টে, সারি নদের সারিঘাট পয়েন্ট সহ সিলেট জেলার সবকটি পয়েন্টে পানি অনেকটা কমেছে। সিলেট জেলায় কোন পয়েন্টে এখন পর্যন্ত পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে এখনও বন্যার বিষয়টি শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানায় পাউবো।
এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলায় আজ মঙ্গলবার দিনে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সকাল ৯ টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ স্টেশনে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ৭.৮৭ মিটার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টি আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সবকটি নদীর পানি গত ৩দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সব উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের সড়ক প্লাবিত হয়ে বসত ঘরেও পানি উঠেছে। তবে সোমবার থেকে সুনামগঞ্জ এবং ভারতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানি কিছুটা কমলেও এখনো ছাতক, সুনামগঞ্জ ও দিরাই ৩ উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় এখনো প্লাবিত রয়েছে জেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ছাতকে পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং দিরাই পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে সুনামগঞ্জে ৫০ মিমি, ছাতকে ৪৭ মিমি এবং দিরাইয়ে ১৪ মিলিমিটার। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি কমতেছে। বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকলে পানি দ্রুতই নেমে যাবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানান। তবে বন্যার বিষয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সূত্র: বাসস
এসকেডি/অননিউজ