সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন-গলিয়ারা উত্তর উন্নয়নের রোল মডেলে এগিয়ে যাচ্ছে
শান্তনু হাসান খান।।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সারাদেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপি নির্বাচন ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেছে সিইসি-স্থানীয় মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে। ১০১ জন মৃত্যুর মধ্যদিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের জয় হলেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। আপাতত: নির্বাচন নেই দেশে। তারপরেও কুমিলা সদর দক্ষিণের ৮টি ইউনিয়ন এবং লালমাইয়ের ৩টি ইউপি নির্বাচন ২০২২ এ আপাতত: হচ্ছে না। মেয়াদ শেষ হলে সদর দক্ষিণের ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিবেন বলে আশা করা যায়। যারা ইতিমধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন তারা অনেকটাই সফল। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রোল মডেলে থেকে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন সরকারি রুটিন ওয়ার্কের মাধ্যমে।
তেমনি একজন গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়দুর রহমান। তার কর্মযজ্ঞে এলাকার জনগণ অনেকটাই উৎফুল। জনগণ এমন একজন জনপ্রতিনিধি চাইছিলেন, যাকে সময়-অসময়ে, রাতে-দিনে সবসময় কাছে পাওয়া যায়, তেমনি একজন বর্তমান চেয়ারম্যান। অল্প সময়ের মধ্যে ৯ জন সাধারণ সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের সমন্বয় করে এলাকার উন্নয়ন-কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
[৬১ বছরের মোঃ ওবায়দুর রহমান গলিয়ারার ৮ নং ওয়ার্ডের ভোটার। বেড়ে উঠেছেন এই জনপদে। মাটি আর মানুষের সাথে সম্পৃক্ত অনেক আগে থেকেই। কনেশতলাতে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু আর কোমালা স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর চৌয়ারা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের মিছিল মিটিং সমাবেশের মধ্যদিয়ে তার রাজনীতিতে আসা। এর আগে ছোট বেলায় স্কুলের ছাত্রাবস্থায় ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন আওয়ামীলীগের ৬ দফা, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ১১ দফা সহ আইয়ুব-মোনায়েম বিরোধী সকল আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, মহান ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি খুবই ছোট ছিলাম। সীমান্তের ওপাড়ে অবস্থান ছিলো আমাদের পরিবারের।
তারপরেও বুকে লালন করতাম স্বাধীনতার চেতনা। স্বাধীনতার পর আওয়ামীলীগের সংসদ নির্বাচনে কর্নেল আনোয়ার উলাহর ক্যাম্পিং এ কাজ করেছি। আর এখন কাজ করছি সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এর দিক নির্দেশনায়। আমি আমার সীমাবদ্ধতার মধ্যে জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নটি সীমান্তবর্তী এলাকা। সীমান্তে যেমন অপবাদ – অপরাধ ঘটে সেদিক থেকে আমার এলাকাটা অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ দাবী করতে পারি। সবকিছুই প্রতিরোধ করা হচ্ছে জনগণকে সচেতনতার মধ্যদিয়ে।
পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং সার্ভিসের কর্মকান্ড চলমান। তিনি বলেন, উন্নয়নের রোল মডেলে তথ্য প্রবাহ আর অবাধ স্বাধীনতার মধ্যদিয়ে আমার ইউডিসি বা তথ্য সেবা কেন্দ্রে জনগণকে সার্বক্ষণিক সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি- তবে সার্ভারের কারণে মাঝে মধ্যে মানুষকে একটু ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান আরো বলেন, ইতিমধ্যেই স্থানীয় সরকারের সকল বরাদ্ধ, যেমন টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি ও থোক বরাদ্ধ, এডিপি ও ১% সহ সরকারি সকল ভাতাগুলো সুষ্ঠুভাবে বন্টন করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়মের সুযোগ ছিল না। কেননা প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা থাকে। আগামীতে গলিয়ারাকে মাদকমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা এবং অত্যাধুনিক ডিজিটালাইজড ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো-আর সব উন্নয়ন ঘটবে আমাদের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাননীয় এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশায়।
চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান জনপ্রতিনিধি ছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত। কনেশতলা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাথে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছেন। এ ছাড়াও একটি দাখিল মাদ্রাসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন দীর্ঘদিন। সদর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সক্রিয় সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এ প্রসঙ্গে কুমিলা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু বলেন, চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান এর স্বচ্ছতার মধ্যদিয়ে এলাকার মানুষ উন্নয়নের স্বাধ গ্রহণ করে বিগত বছরগুলোতে। আগামীতে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার ওঠে আসা প্রয়োজন আছে। কেননা-এ মানুষটি ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজ নিয়ে দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আছেন এবং জনগণের পাথে থেকে কাজ করছেন।