পাবনা সুজানগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমূল হুদার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমূল হুদা সুজানগর উপজেলায় আসার পর থেকেই সরকারের সকল উন্নয়ন প্রকল্প থমকে গিয়েছে। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমূল হুদার বিরুদ্ধে। উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ছারাও গ্রামীন অবকাঠামো স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা,মন্দির,ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা, স্থাপন, মেরামত ও সংস্কারের সরকারী ও বিভিন্ন সংস্থার বরাদ্ধ অর্থের সিংহভাগ তছরুপ করছে অনিয়ম ও দূর্নিনিতির মাধ্যমে।
জানা যায় দেশের তৃণমূলে উন্নয়ন ও দরিদ্রদের সহায়ক হিসেবে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার নানান অর্থ বরাদ্ধ হয় উপজেলা ও জাতীয় সংসদ সদস্যের অনুকুলে। এ সকল বরাদ্ধ অর্থ সমম্বয় কমিটির সভার মাধ্যমে বন্ঠন হয় ইউনিয়ন ভুক্ত এলাকার প্রকল্পের নামে। যা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকে জনপ্রতিনিধিরা। জনপ্রতিনিধিরা বাস্তবায়ন করলেও দেখভালের দায়িত্বে থাকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
নাম না বলার শর্তে উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন কাজ কি করবো, প্রতিটি প্রকল্পে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার, জানা যায় গত ২০২২/২৩ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা/কাবিখা প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ না করে ভাগ বাটোয়া করেছে। সরে জমিনে একটি প্রকল্পে দেখা যায় এমন দৃশ্য ,আহম্মাদপুর ইউনিয়নে শাহী রোড থেকে শামছুর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কাজ না করে টাকা উত্তলন করছে। তা ছারাও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচির আওতায় ১ম পর্যায়ে উপকার ভোগীদের ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬০০ নামের তালিকা কাগজে কলমে খাকলেও সুভিধা বঞ্চিত প্রায় অর্ধেক। মেম্বার চেয়ারম্যানের আত্বিয়,দলীয় লোক, ও অফিসের কর্মচারী কাজ না করেই সু-ফল পাচ্ছে, অন্য দিকে কিছু অসহায় হত দরিদ্র নারি পুরুষ কাজ করেও মোবাইল নং- জটিলতার কারণে টাকা পাচ্ছে না, তারা ঘুরছে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও অফিসের বারান্দায়। নাম টিকানা মিললেও মোবাইল নাম্বার দেখা যায় মেম্বারদের নাম্বার বা অন্য নাম্বার। এ দিকে ভায়না ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিয়নে দেখা যায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচির আওতায় ১ম পর্যায়ে উপকার ভোগীদের নামের তালিকায় মেম্বারদের মোবাইল নাম্বার। ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শুধু আমার নাম্বার পাবেন কেন, খোজ নেন, সকল মেম্বার চেয়ারম্যান ও অফিসের অনেকের একাধিক নাম্বার তালিকায় আছে , এমন কি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমূল হুদার নাম্বার পর্যন্ত আছে। বিষয়টি সুজানগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমূল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছুটা ভুলত’টি আছে বলে শিকার করেন, তবে তালিকা চাইলে নানান তাল বাহানা করেন, বলেন ইউনিয়ন পরিষদে চাইলে দেবে। এ দিকে তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের কথা জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে বলতে নারাজ, সাক্ষাৎকার চাইলে দৌড়ে পালান।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমূল হুদার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের বিষয়ে সুজানগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার সুখময় সরকার বলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফআর/অননিউজ