সুন্দর ওই অনুষ্ঠানে চীনের উচিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করা : ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক।।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবসানের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীন গতকাল বুধবার বিশাল এক কুজকাওয়াজের আয়োজন করেছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেনউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনসহ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। অন্তত দুই ডজন বিশ্বনেতার সামনে নিজেরদের অস্ত্র ভাণ্ডার প্রদর্শন করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পাশে বসে শি তিয়েনআমেন স্কোয়ারে ৫০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে ভাষণ দেন।
তিনি কুচকাওয়াজরত সেনা ও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামের প্রদর্শনী পর্যবেক্ষণ করেন
এই আয়োজনের পর মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের আয়োজিত ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির সুন্দর অনুষ্ঠান’-এ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা তুলে ধরা উচিত ছিল, কারণ জাপানের পরাজয়ে আমেরিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৩৭ সালে জাপান চীনে হামলা করলে যুদ্ধ বড় রূপ নেয়, যা পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। ১৯৪৫ সালে জাপান আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধ শেষ হয়। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সেনাদের সাহায্য করে এবং জাপানের পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এর আগে গতকাল ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ শি চিনপিংকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনকে আমার শুভেচ্ছা জানিও, যখন তোমরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছ।’ ক্রেমলিন অবশ্য এসব মন্তব্যকে ষড়যন্ত্র বলে নাকচ করে জানিয়েছে, ট্রাম্পের মন্তব্যগুলো ছিল ব্যঙ্গাত্মক।
বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠানটি দেখেছি। এটি ছিল সত্যিই দারুণ এবং চমকপ্রদ।
প্রেসিডেন্ট শি আমার বন্ধু। তবে আমি মনে করি, সেই বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম আসা উচিত ছিল, কারণ আমরা চীনকে অনেক সাহায্য করেছিলাম।’ তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
শি চিনপিং তার বক্তৃতায় যুদ্ধের ইতিহাসকে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল চীনা জাতির ‘মহান পুনর্জাগরণের’ এক মোড় ঘোরানো সময়। তিনি বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করেননি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক এক টানটান পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন ইস্যু থেকে শুরু করে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ ছাড়াও শুল্ক এড়াতে বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও টানাপোড়েন চলছে। তবে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, শির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ইতিবাচক। তিনি আরো বলেছেন, শির সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক হতে পারে।
সূত্রঃ kaler kantho
jn