কুমিল্লায় পাকা, আধা পাকা সূর্যমুখী ফুলে বিস্তীর্ণ জমিগুলো এখন হলুদের সমারোহ। সূর্যের আলোয় মাখামাখি সবুজ গাছের হলুদ ফুল দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমায় শতশত দর্শনার্থী। এবছর জেলায় ৮৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। এথেকে পাওয়া যাবে প্রায় ২০০ টন তেল। দাউদকান্দি, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, কুমিল্লা সদর, চান্দিনা, ব্রাহ্মণপাড়ারসহ আরো কয়েকটি উপজেলায় এ তেলবীজ চাষ করেছেন কৃষকরা। দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভোষনা গ্রাম।
শখের বশে আব্দুল আউয়াল তার বাড়ির পাশের ২০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। তার এ সূর্যমুখীর খেত দেখতে ও ফুলের সাথে ছবি তুলতে প্রতিদিন ভিড় জমায় শতশত দর্শনার্থী। উৎসুক দর্শনার্থীদের সামাল দিতে, করেছেন ২০ টাকার বিনিময় টিকেটের ব্যবস্থা। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। স্বাস্থ্যসম্মত তেল উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকদেরকে সূর্যমুখী উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করেছেন তারা।
সে লক্ষ্যে প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের সূর্যমুখীর বীজ দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর ঢুলিপাড়ায় ১২ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন ইফতেখার হোসেন। সে জানায়, গত বছরের তুলনায় ফুলের আকার ছোট হলেও ফুটেছে বেশি।যদিও এবছর পরপর দুটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৌসুমের শুরুতে বীজ বপন করতে পারিনি তিনি। গত বছরের তুলনায় এবছর তেল উৎপাদন কম হতে পারে। তবে ফলন ভালো হলে তা পুষিয়ে নেওয়া যাবে। কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, জেলায় ৮৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে ১৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
এসকেডি/অননিউজ