নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সৈকতে নামায় তিন পর্যটককে আটক করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (১৩ মে) কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ধরনের কাজ আবার করলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন কক্সবাজার পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বর্তমানে কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১০ নং মহাবিপদ সংকেত আছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এই কারণে আমরা সকাল থেকে সাগরে নামতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। তবে পর্যটকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সৈকত এলাকায় প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ সময় তিন পর্যটককে আটক করা হয়। পরে অবশ্য সতর্ক করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা মাঠে নেমেছেন। ২০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
ফরহাদ/অননিউজ