নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে এক নারী যাত্রীকে আটকে রেখে লাঞ্চিত করার অভিযোগ স্টেশনের বুকিং সহকারীসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। রাবেয়া আকতার মুন নামে ওই নারী যাত্রী সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা এলাকার নাসিম হোসেনের মেয়ে।
এ ঘটনায় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাবেয়া আকতার।
জানা গেছে, সৈয়দপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেসের পহেলা অক্টোবরের টিকিট চান রাবেয়া। কাউন্টার থেকে টিকিট নেই বলে সৈয়দপুর প্লাজার গ্লোবাল কম্পিউটার এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন বুকিং সহকারী জাহিদুল ইসলাম রনি। সেখান থেকে অনলাইনে চারটি টিকিটের স্লিপ নিয়ে আবার কাউন্টারে আসেন রাবেয়া। কাউন্টারে টিকিট না থাকা এবং সাড়ে চার’শ টাকার টিকিট আট’শ টাকা দরে কেনার কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বুকিং সহকারী রনি। পরে তাকে সহকারীর রুমে নিয়ে রনি গং সহ আরো কয়েকজন লাঞ্চিত করেন।
যাত্রী রাবেয়া আকতার মুন জানান, বুকিং সহকারী জাহেদুল ইসলাম রনিকে ওই স্লিপ দেয়ার পর তাকে আক্কেলপুর থেকে ঢাকার কমলাপুর পর্যন্ত চারটি টিকিট টিকিট প্রদান করা হয়। এ সময় টিকিট না পাওয়া এবং অতিরিক্ত দামে টিকিট কেনার কথা বললে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আমাকে।
এসময় আরো দু’জন রেল কর্মচারী এসে আমাকে বুকিং সহকারীর রুমে নিয়ে লাঞ্চিত করেন তারা। দেয়ালের সাথে মাথা চেপে ধরে চর-থাপ্পর মারতে থাকে। এক পর্যায়ে টিকিট ও তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
এ ব্যপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মাহবুব হোসেন কথা বলতে রাজি হননি। ঘটনাস্থল থেকে তথ্য নিয়ে বের হয়ে আসার সময় বুকিং সহকারী ক্ষিপ্ত হয়ে সময় টিভির প্রতিবেদক সাকির হোসেন বাদলের উপর মারমুখী আচরণ করেন।
সাকির হোসেন বাদল অভিযোগ করেন, কাউন্টারে গেলে টিকিট পাওয়া যায় না কিন্তু কালোবাজারীতে টিকিট পাওয়া যায় এমন অভিযোগ প্রতিদিনের। সে রকমই একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য রেল স্টেশনে গেলে স্টেশনের বুকিং সহকারী আমার উপর মারমুখী আচরণ শুরু করেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শফিউল ইসলাম জানান, রাবেয়া আকতার নামে এক যাত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।