ফেনীর সোনাগাজীতে সামাজিক, পল্লী আদালত, পুলিশি বাধা ও বিচারিক আদালতের আদেশ উপক্ষা করে নূর কালাম খোকা মিয়া নামের এক ব্যক্তির চার শতক জমি জবর দখল করে ঘর নির্মাণের পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের গফুর মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জবর দখলকারী আবদুল ওহাব ও বিউটি আক্তার গংদের অত্যাচার নির্যাতনে ভুক্তভোগী নূর কালাম সমাজপতি, ইউনিয়ন পরিষদ, বিচারিক আদালত ও থানায় ঘুরতে ঘুরতে নি:স্বহ হয়ে পড়েছেন। আবদুল ওহাব ও বিউটি আক্তার গং প্রভাবশালী হওয়ায় নূর কালামের জন্য বিচারের বাণি যেন নিরবে নিবৃতে কাঁদছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আবদু গফুর ও আবদুল ছোবহানের স্ত্রী গংদের সঙ্গে নূর কালামের জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে সামাজপতিদের নিয়ে তর্কিত জমি পরিমাফ করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়। গায়ের জোরে সমাজপতিদের বিচার না মেনে তর্কিত জমিতে ওহাব গং ঘর নির্মাণ করার পাঁয়তারা করলে খোকা মিয়া প্রতিকার পেতে ইউনিয়ন পরিষদের পল্লী আদালতে বিচার দাবি করেন। দু'পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা ও দীর্ঘ শুনানী শেষে পল্লী আদালতের বিচারক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরণ লিখিত আদেশ প্রদান করেন।
প্রতিপক্ষের লোকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে তর্কিত জমিতে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে গত ৩ জানুয়ারি ফেনী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারা মতে প্রতিকার পেতে মামলা দায়ের করেন। আদালত তর্কিত জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সোনাগাজী থানার ওসিকে এবং দখল-মালিকানা নিরূপণ করে এ্যাসিল্যাণ্ডকে আদেশ দেন। থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নোটিশও প্রদান করেন। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে খোকা মিয়া বাধা দিলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। নিরুপায় হয়ে খোকা মিয়া ১১মার্চ আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোনাগাজী মডেল থানার ওসিকে আদেশ দেন। ১২ মার্চ মঙ্গলবার পুলিশ তদন্তে গেলে পুলিশের সঙ্গেও বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন প্রতিপক্ষের লোকজন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতত করে বলেন, মঙ্গলবার ইফতারের পর দু'পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনার জন্য ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এফআর/অননিউজ