সোনাগাজীতে আসামি ও সন্তানদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত, পিতা-পুত্র গ্রেফতার

সোনাগাজী, ফেনী প্রতিনিধি।।

৪মে ২০২৪খ্রিস্টাব্দ, শনিবারঃ ফেনীর সোনাগাজীতে শুক্রবার বিকালে কুয়েত প্রবাসী এক ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়ে আসামি ও তার সন্তানদের হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য।

আহতরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মাহবুব আলম সরকার, এএসআই আবুল খায়ের ও কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী। বিকাল পাঁচটার দিকে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়া (৫৭) ও তার ছেলে মো. আবদুল আজিজ (২৪) কে গ্রেফতার করেছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রবাসী পরিবারের পক্ষ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে চার মামলার পলাতক আসামি কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়াকে ধরতে গেলে মো. ইয়াহিয়া ও তার তিন ছেলেসহ স্বজনরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। অপরদিকে প্রবাসী মো. ইয়াহিয়ার পরিবারের দাবি জামিনে থাকার পরও পুলিশ সদস্যরা জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে ইয়াহিয়া, তার তিন পুত্রসহ স্বজনদের বেধড়ক পিটুনি দিয়ে আহত করেছে।

পুলিশ, প্রবাসী পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, কুয়েত প্রবাসী ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে তার ভাইদের দায়ের করা চারটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন ফেনীর আদালত। সম্প্রতি দেশে ফিরে ২মে বৃহস্পতিবার ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজীর হয়ে ইয়াহিয়া তিনটি মামলায় জামিন নেন। আদালত থেকে জামিন নিলেও ইয়াহিয়া থানায় রিকল বা জামিনের আদেশের কপি থানায় জমা দেননি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মাহবুব আলম সরকারের নেতৃত্বে পুলিশদল তার বাড়িতে গেলে পুলিশ সদস্যদেরকে ঘরে ঢুকতে বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ইয়াহিয়া ও তার ছেলে আবদুল আজিজকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। আহত তিন পুলিশ সদস্য সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় এসআই মহাবুব আলম সরকার বাদী হয়ে কুয়েত প্রবাসী ইয়াহিয়া ও তার তিন ছেলেকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতেই মামলা দায়ের করেছেন। সোনাগাজী মডেল থানার মামলা নং- ০৪, তাং-০৩-০৫-২০২৪খ্রিস্টাব্দ।

ফেনীর সহকারি পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) সার্কেল তাসলিম হুসাইন ও সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পুলিশের ওপর হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। দু’জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ