ফেনীর সোনাগাজীতে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ৬৬জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নবাবপুর বিসি লাহা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে নৌকা প্রতিকে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন রনি নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ১৫দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান।
আটটকৃতদের মধ্যে চরচান্দিয়া ইউনিয়নে মধ্য চরচান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে নৌকার প্রার্থীর ১৩ জন এজেন্ট রয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের স্বরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী শাহ আলমের সমর্থকরা অপর মোম্বার প্রার্থী আজাদ হোসেন কিরণের তিন সমর্থক সুজন, রবিউল ও নাজিমকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে। সাড়ে ১১টার দিকে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরখোয়াজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী আলা উদ্দিন এস্কান্দার ও হাফেজ কামালের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সবুজ, নিলয়, নূর আলম, কবির আহাম্মদ ও ওমর ফারুক আহত হয়। ওমর ফারুক নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
দুপুর ২টার দিকে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী ওমর ফারুক সজিবের সমর্থকদের সাথে ও নুর ইসলাম লিটনের সমর্থকদের গোলাগুলিতে নারী ও শিশু সহ কমপক্ষে ১২জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন দুই বছর বয়সী শিশু আসামা আক্তার, তার মা ফাতেমা আক্তার ফারিহা, আবুল কালাম, হৃদয়, নয়ন, নিরব, সাইফুল, মাকসুদ, শফি উল্যাহ, নেয়ামত উল্যাহ ও আবুল বশর। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলাকালে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার দায়ে ৬৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের অধিকাংশই ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার দায়ে ৬৬জনকে আটক করা হয়েছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে ছিল।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাইনুল হক জানান, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে মঙ্গলকান্দি ও মতিগঞ্জ ইউপিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।