ফেনীর সোনাগাজীতে রাতের আঁধারে কৃষক ও কৃষাণীকে বেঁধে রেখে মারধর করে ধান লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের পূর্ব সুজাপুরে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কৃষাণী রেহানা বেগম বাদী হয়ে. সাত জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, পূর্ব সুজাপুর গ্রামের ভূমিহীন কৃষক নুরের নবী ও তার স্ত্রী রেহানা বেগমের নামে ২০০৬ সালে সরকার দুটি দাগে ৭৫ শতক জমি বন্দবস্ত দেয়। বন্দোবস্ত নথি নং-৫৬২/২০০৬। এর মধ্যে ৩৪ শতক জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে তারা বসবাস করছেন। ৪১ শতক নাল জমিকে সবজি ও ধান চাষ করে জীবীকা নির্বাহ করছেন। ৪১শতক জমির মধ্যে প্রায় ২০শতক জমির ধান কেটে শুকাতে দেন তারা। কিন্তু উক্ত জমি বাংলাদেশ জরিপ (বিএস) খতিয়ানের মালিকানা দাবি করেন একই ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের ছাদেক হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন গং।
প্রায় চার বছর পূর্বে উক্ত জমি জবরদখলের চেষ্টা চালান দেলোয়ার হোসেন গং। তাতে ব্যর্থ হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা হলে দীর্ঘ শুনানীর পর কৃষক নুরের নবী ও তার স্ত্রী রেহানা বেগমের পক্ষে রায় পান।
বৃহস্পতিবার ২৩ক্টবোর রাত তিনটান দিকে উক্ত জমিতে কাটা ধান পাহারায় ছিলেন কৃষক নুরের নবী ও কৃষাণী রেহানা বেগম। এসময় দেলোয়ার হোসেন, মো.সাহেদ, মো. জিয়া, মো. সাইফুল ইসলাম, শাকিল সহ ৩০-৩৫ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোঠা নিয়ে কৃষক ও কৃষাণীকে বেঁধে রেখে মারধর করে কাটা ধান সহ প্রায় ৩৫ শতক জমির ধান লুট করে নিয়ে যায়। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।